মানুষের হাত পা কাটলে ডাক্তারের চেম্বারে গেলে দ্রুত সেলাই করে দিয়ে রোগীকে সুস্থ্য করে তোলা খুবই সহজ ব্যাপার। আর সেটাও পারে ও কমবেশি সকল ডাক্তার।কিন্তু মানুষ যখন সড়কে যানবাহনের সঙ্গে এক্সিডেন্ট করে হাত-পা ভেঙে ফেলে তখন অর্থপেডিক্স ডাক্তার ছাড়া তার চিকিৎসা করা খুব দুরহ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।অনেকে সড়কে এক্সিডেন্ট করে আহতদের হাত বা পায়ের হাড় ভেঙে কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে যায়।ফলে তাদের হাড়ে নাট-স্ক্রু লাগিয়ে সেলাই করে দিয়ে আবার প্লাস্টার করে দিতে হয়। এক সময় টুকরো হাড় জোড়া দিতে সাতক্ষীরার মানুষকে যেতে হতো ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে অথবা ঢাকার ট্রোমা সেন্টারে।কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশেে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এখন সাতক্ষীরায় বসে টুকরো হাড়ে স্ক্রু লাগিয়ে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় ঢাকা-খুলনার চাইতে অনেক কম খরচে।

সাতক্ষীরা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ট্রমা অর্থপেডিক্স কেয়ার সেন্টার।নারিকেলতলা মোড়, সাতক্ষীরা।খুব সুন্দর মনোরম পরিবেশে দেশের সেরা অর্থপেডিক্স বিশেষষ্ণ ডাক্তার মোঃ হাফিজুল্যাহ’র তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে নিয়োজিত অভিজ্ঞ নার্স,উন্নতমানের ডিজিটাল মেশিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা,খু্ব অল্প সময়ে রোগীর রিপোর্ট প্রদানসহ আছে অর্থপেডিক্স সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিভাগ।দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার্থে এ্যাম্বুলেন্স, রোগী ভর্তি থাকার আবাসিক ব্যবস্থা। গরীব-দুখী মানুষ খুব অল্প খরচে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা পেয়ে থাকে।

অসংখ্য রোগীর সরাসরি মতামত ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সময়ের চিকিৎসা সেবায় উত্তরাধুনিক সাতক্ষীরার একটি নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্থ স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান হিসাবে সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি।আমাদের ধারণা স্বাস্থ্যসেবায় এমন জনকল্যানমুখি প্রতিষ্ঠান আগামীর সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে, সেইসাথে সাধারণ মানুষ দেশের বাহিরে না গিয়ে নিজের জেলাতে সুবিধামত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মুনজিতপুরের মুদি ব্যবসায়ী মনু মেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী তিষা প্রতিবেদক কে বলেন দুই বৎসর আগে হোটের পানসি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তার পায়ে এক বখাটে বেপরোয়া গতিতে মটর সাইকেল চালিয়ে মেরে দেয়। এতে সে গুরিতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পথচারী ও পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে ভুক্তভোগী সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক্স সার্জন ডাক্তার হাফিজউল্লাহ এর কাছে চিকিৎসা নিতে যান।ভুক্তভোগী জানান,ডাঃ হাফিজ তার পায়ের ভাঙা অংশে অপারেশন করে স্ক্রু লাগিয়ে দেন। পরবর্তীতে ১ বৎসর পরে সেই স্ক্রু আবার অপারেশন করে খুলে দেন ডাঃ হাফিজ।সেখান থেকে ভুক্তভোগী স্বাভাবিক ভাবে পায়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করছেন।ভুক্তভোগীর পিতা ব্যবসায়ী মনু প্রতিবেদক কে বলেন আমার মেয়ে কে স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন ডা.হাফিজউল্লাহ।আমার মেয়ে এখন পরিপূর্ণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক গতিতে চলাফেরা করতে পারে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন