সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে বিকাশ এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই, বেআইনি অস্ত্র রাখা, চাঁদাবাজি ও পর্ণোগ্রাফি মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ের চার লাখ টাকা। তার সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে সুমাইয়া শিমু নামের এক নারীকে। সাদিকুর তাকে ব্যবহার করে ব্লাকমেইল করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।একাধিক সুত্র জানায় মুনজিতপুর এলাকার রিজাউল ইসলাম বাবুর বাড়ি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন শিমু কে সেখানে পুষে রাখতো সাদেক।বাড়ি আলা প্রশ্ন করলে বলা হতো শিমু সাদেকের সৎ বোন হয়।লেখাপড়া করার জন্য সে শহরে ভাড়া থাকছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারান চন্দ্র জানান সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক…….
সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (Promoted Sp) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এঁর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন, ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম, ডিবির ইন্সপেক্টর মোঃ জহিরুল ইসলাম, ডিবির সেকেন্ড অফিসার হাফিজুর রহমান, সাব-ইন্সপেক্টর ফরিদ হোসেন,সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ মতিউর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স কয়েক সপ্তাহ ব্যাপী সাতক্ষীরা-ঢাকা সহ সন্দেহজনক স্থানে অভিযান চালিয়ে সাদিকুর ও শিমুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর আজ বুধবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সাতক্ষীরার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রাসংঙ্গত : গত ৩১ অক্টোবর কালিগঞ্জের পাওখালিতে বিকাশ এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এই ছিনতাই চক্রের মাস্টার মাইন্ড সাদিকুরের দুই সহযোগী সাইফুল ও মামুনুল ইসলাম দ্বীপ গত ৩০ নভেম্বর পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।যেটি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কে জানিয়েছিলেন।
এর পর থেকে সে ছিল পলাতক। সংগঠনের শৃংখলা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত থাকার দায়ে সৈয়দ সাদিকুরকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুই জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন নারীর সাথে অশালীন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে।