ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, যারা অবৈধভাবে টাকা কামিয়েছেন তাদেরকে আমরা সুখে থাকতে দেব না। দুর্নীতিবাজদের আমরা ছাই দিয়ে ধরব।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে দুদক-সিটিটিসি’র উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কেউ যেন মনে না করেন অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে তা নিয়ে সুখে থাকবেন। যারা অবৈধভাবে টাকা কামিয়েছেন তাদেরকে আমরা সুখে থাকতে দেব না। দুর্নীতিবাজদের আমরা ছাই দিয়ে ধরতে চাই। প্রযুক্তিগত জ্ঞান ব্যবহার করে অর্থের উৎস, টাকা কোথায় যায়, কোথা থেকে আসে এ নিয়ে দুদক ও সিটিটিসি কাজ করছে।’
মানিলন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে টাকা কোথায় যাচ্ছে তা খুঁজে বের করা জরুরি জানিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা একটি জটিল প্রক্রিয়া। টাকার গতিবিধি ট্রেস করা একটি দুরহ কাজ। আমরা চাই আমাদের কর্মকর্তারা ট্রেস করার টেকনিক ভালো করে জানুক। কেউ যাতে বলতে না পারে প্রভাবশালী বলে মামলায় ফাঁক ফোকর রেখে তদন্ত করা হয়েছে। আমরা যাকে ধরতে চাই তাকে শক্ত করেই ধরতে চাই, এই মেসেজটা সকলকে দেওয়া।’
‘আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারো অবৈধ টাকার উৎস, টাকা কোথায় যাচ্ছে, কে টাকা তুলছে, সব খোঁজ খবর নিচ্ছি। অবৈধভাবে কেউ টাকা উপার্জন করলে তাকে সেটা আমরা ব্যবহার করতে দেব না। আমরা তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করবো।’
দুদকের নবীন অফিসারদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রযুক্তি বা টেকনিক্যাল জ্ঞান শিখতে হবে। নিজে না জানলেও অপর সহকর্মীদের কাজ থেকে শিখতে হবে। আপনি সৎ থাকবেন, দেশের জন্য কাজ করবেন। যত প্রভাবশালী হোক, ভয় দেখাক আপনারা সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। আপনাদের যে কোনো বিপদে আমরা পাশে আছি।’
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, মাদক থেকে যারা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টাকা ও সম্পদ অর্জন করেছে সেটি নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুর্নীতির টাকা কোথায় বিনিয়োগ হচ্ছে এই জায়গাটা আমাদের দেখা দরকার। এই কর্মশালা থেকে আপনারা যা শিখবেন তা কর্মজীবনে কাজে লাগাবেন।’