’পুলিশ সপ্তাহ ২০২০’’ এ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা) প্রাপ্তিতে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম(বার) কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।বুধবার সকাল ১০ টায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সন্মেলন কক্ষে অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে রেঞ্জ ডিআইজি কে সংবর্ধনা জানানোর পর মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) ।
অনুষ্ঠানে সর্বপ্রথম খুলনা রেঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে রেঞ্জ ডিআইজি ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) কে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অভিনন্দন জানান খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (প্রশাসন এন্ড ফিন্যান্স) মোঃ হাবিবুর রহমান বিপিএম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি(অপারেশন এন্ড ক্রাইম) একেএম নাহিদুল ইসলাম বিপিএম,খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন এন্ড প্রসিকিউশন)আবু হেনা খন্দকার অহিদুল করিম প্রমূখ।
অতপর খুলনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রেঞ্জ ডিআইজি কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম।একে একে বাগেরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার জনাব পঙ্কজ চন্দ্র রায়,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম-বার,যশোর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম,ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার জনাব হাসানুজ্জামান, পিপিএম, মাগুরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান,পিপিএম,নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম-বার,কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, পিপিএম,
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম,
মেহেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী প্রমুখ।
একই অনুষ্ঠানে খুলনা আরআরএফ এর পক্ষ থেকে রেঞ্জ ডিআইজি কে অভিনন্দন জানানো হয়। খুলনা আরআরএফ এর পক্ষ থেকে রেঞ্জ ডিআইজি কে অভিনন্দন জানান খুলনা কমান্ড্যান্ট (এসপি)মোছাঃ তাসলিমা খাতুন প্রমুখ।
পরে ৩য় এপিবিএন খুলনা, সিআইডি, পিবিআই, নৌ-পুলিশসহ খুলনা রেঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শরফুদ্দীন (মিডিয়া এন্ড ক্রাইম), জনাব সৌমিত্র চাকমা, সিনিঃ এএসপি (স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি), জনাব মোঃ জালাল উদ্দীন, এএসপি (ক্রাইম) ও রেঞ্জ অফিসের অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।শুভেচ্ছা জ্ঞাপন শেষে অপরাধ পর্যালোচনা সভা শুরু হয়। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় দেখা যায় ডিসেম্বর /১৯ মাসে খুলনা রেঞ্জের দশটি জেলায় সর্বমোট ১৫৯০ টি মামলা রুজু করা হয়। এর মধ্যে মাদকের মামলা ৭৬৪ টি। এছাড়া ডিসেম্বর /১৯ মাসে খুলনা রেঞ্জের দশটি জেলা থেকে ১,৫৭,৭৩,২৩৬ টাকা মুল্যের মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় দেখা যায় খুলনা রেঞ্জের পরোয়ানা তামিলের হার ৭৮০০ টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিসেম্বর ১৯ মাসে মামলা নিষ্পত্তি ও আলামত নিষ্পত্তি করে রেঞ্জের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। সভায় শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসাবে ডিআইজির নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন যশোর ক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম রাব্বানী। এছাড়া রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক হয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসআই হয়েছেন এসআই জাকির হোসেন ও শ্রেষ্ঠ এএসআই হয়েছেন আশাদুল ইসলাম।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতন, কিশোর গ্যাং, গুজব প্রতিরোধে আইনুনাইক ব্যবস্থা গ্রহণের পাসাপাস সচেতনতা মুলক প্রচারণা চালানোর জন্য রেঞ্জের দশ জেলার পুলিশ সুপার গণ কে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম বার।