অপহরনের দুই দিন পর সাতক্ষীরার চালতেতলা বাগানবাড়ী এলাকা থেকে এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে অপহরনকারী জাহিদ হাসানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের নাম রাসুল আহমেদ জিম (২২)। সে খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকার শেখ হেমায়েত হোসেন হিমুর ছেলে। বর্তমানে তারা পুরাতন সাতক্ষীরা হাটেরমোড় এলাকায় মৃত আব্দুস সবুর গাজীর ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। জিম সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃমহিদুল ইসলাম জানান, গত ২১ জানুয়ারী সাতক্ষীরা শহর থেকে অপহরন করা হয় জিমকে। এ ঘটনায় জিমের বাবা হেমায়েত হোসেন হিমু বাদী হয়ে পরদিন (২২জানুয়ারী) শহরের মুনজিতপুর এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে জাহিদ হাসান (২৩)সহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন।পরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বার এঁর দিক নিির্দেশনা মোতাবেক মামলাটির রহস্য উদঘাটন করতে সাতক্ষীরা ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অপহরনকারী জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর জাহিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বিকালে তার ভাড়াবাড়ি চালতেতলা বাগানবাড়ী এলাকার জনৈক লিটনের বাড়ি থেকে ওই কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ আরো জানায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে লাশ পাওয়া গেছে এ সংবাদ পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এসময় সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন, সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আবুল কালাম আজাদ, ডিবির সেকেন্ড অফিসার হাফিজুর রহমান ও এসআই ফরিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।