ক্রাইম কনফারেন্সে জেলার চৌকশ পরিদর্শক পুরুস্কার পেলেন ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 442 দর্শন

 

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জেলার চৌকশ ইন্সপেক্টর হিসাবে পুলিশ সুপারের নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন সাতক্ষীরা ডিবির ওসি মোঃ মহিদুল ইসলাম। রবিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সের ড্রিলসেডে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)।

সভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায়,জেলায় রেকর্ড ব্রেক পরিমান মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার,কালিগজ্ঞেে ছিনতাই হওয়া বিকাশের ২৬ লক্ষ টাকা ছিনতাই মামলার আসামি আটক,পাটকেলঘাটায় শিশু শাহীনের ছিনতাই হওয়া ভ্যান উদ্ধার ও প্রধান আসামি আটক করায়,শহরের কুকরালী এলাকায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আটক ও লাশ উদ্ধার করায়,১ কোটি টাকার অবৈধ নোট গাইড জব্দ করায় সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম কে জেলার চৌকশ পরিদর্শক হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

সভায় অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ও ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম কে সন্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেন পুলিশ সুপার।

সভায় অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় কলারোয়া থানার ওসি,পাটকেলঘাটা থানার ওসি ও শ্যামনগর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত ইয়াছিন আলম চৌধুরী কে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)।

এছাড়া রেকড ব্রেক পরিমান মাদক উদ্ধার,অস্ত্র উদ্ধার,ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আটক ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক করে জেলা ডিবি পুলিশের সেকেন্ড অফিসার হাফিজুর রহমান,ডিবির এসআই মনিরুল, সাতক্ষীরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নুর আলম এবং সাতক্ষীরা থানার এসআই মানিক সাহা কে সন্মাননা ক্রেন্ট উপহার দেন পুলিশ সুপার।তবে এসআই ক্যাটাগরীতে সাতক্ষীরা থানার এসআই নুর আলম প্রথম ক্যাটাগরীতে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন বলে একাধিক সুত্র জানায়।

অপরদিকে জেলায় প্রথম ক্যাটাগরীতে শ্রেষ্ঠ এএসআই সন্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন সাতক্ষীরা থানার এএসআই শাহানুর আলম। তিনি জানুয়ারি ২০২০ মাসে ১০২৫ পিস ইয়াবা, ৮০ পিস ফেন্সিডিল ও তিন কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক করে জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর হিসাবে পুলিশ সুপারের নিকট থেকে পুরুস্কার পেয়েছেন।থানা পুলিশের সুত্র জানায় এএসআই শাহানুর আলম মাদক উদ্ধারে শুধু জেলায় শ্রেষ্ঠ নয় খুলনা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ হবেন।

সভায় পুলিশ সুপার পুলিশ সদস্যের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন ও সেগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে জেলা পুলিশের কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশ সুপার লটালীর মাধ্যমে জেলায় ১২ জন এসআই কে পোস্টিং দেন।লটাটির মাধ্যমে পোটিং দেওয়া কালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বার বলেন, কোন টাকা-পয়সা বা তদবিরে পোস্টিং দেওয়া হবেনা জেলায় পোস্টিং হবে লটারির মাধ্যমে।

এসময় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ,সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন, হেড কোয়ার্টার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান,দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃইয়াছীন আলী,তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির,বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম,আরও ওয়ান মোঃআজম খান, বিশেষ শাখার ডিআইওয়ান মিজানুর রহমান,সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ, সাতক্ষীরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৭.৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইন্সে মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। মাস্টার প্যারেডে সালাম গ্রহণ করেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)।এসময় মাস্টার প্যারেডে প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন।

মাস্টার প্যারেড শেষে পুলিশ সুপার পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ অফিস, অন্ত্রাগার ও মালখালা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের যানবাহন শাখা পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার পুলিশ সদস্যের উদ্যেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মুলক ব্রিফিং প্রদান করেন।







০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন