করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মুল্য আকষ্মিক বৃদ্ধি করায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন ঔষধের দোকান ও কাপড়ের দোকানে অভিযান অব্যহত রেখেছে।
বুধবার সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক দিন ভোর অভিযান চালায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজাহার আলী।অভিযান পরিচালনা কালে শহরের বিভিন্ন ফার্মেসী গুলোতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর বাজার মনিটরিং করা হয়।এসময় নির্দিষ্ট ওষুধের সঠিক টেম্পারেচার মেইনটেইন না করার অপরাধে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থিত ফাহিম মেডিকেল হলকে জরিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সুত্র জানায় বুধবার দিনব্যাপী চলমান এ অভিযানে অপর মামলায় পারুলিয়া বাজারে অবস্থিত শিলা ফার্মেসী কে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে জরিমানা করা হয়।এর আগের দিন মাস্কের দাম বেশি নেওয়ায় সাতক্ষীরার ফাল্গুনী বস্ত্রলায় কে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের কে জানান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মুল্য যদি কোন দোকানদার ধার্যমুল্যের চাইতে বেশি চায় তাহলে আমাকে জানান। অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহরের পাকা পোল মোড়ে অবস্থিত ঔষধের দোকানে মাস্ক কিনতে যাওয়া ইয়াছিন আরাফাত জানান আমি এখানের ফাম্মেসী তে গিয়েছিলাম মাস্ক কিনতে কিন্তু কোন দোকানেই মাস্ক নেই বলে জানায় ফাম্মেসীর কর্মচারীরা। ইয়াছিন আরাফাত প্রতিবেদক কে বলেন ফাম্মেসীর দোকানদার রা মনে হয় সিন্ডিকেট করে মাস্ক তাদের গোডাউনে সংরক্ষণ করে রাখছে পরে চড়া দমে বিক্রি করার জন্য। তাদের গোডাউন চেক করলে হয়তো বস্তা বস্তা মাস্ক উদ্ধার করা সম্ভব হবে।