জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে উপলক্ষে এক হাজার ২০০ কোরান খতমের উদ্যোগ নিয়েছে খুলনার জেলা প্রশাসন।

১৭ মার্চ ফজর নামাযের পরপরই নগরীর বিভিন্ন মাদ্রাসায় ২ হাজার ৩৮১ জন হাফেজ এই কোরান খতম করবেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসীকে হেফাজতের লক্ষ্যে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার সন্ধ্যায় নগরীর সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনার জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন এই কর্মসূচির কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুলনা জেলা প্রশাসনের নেওয়া আগের কর্মসূচিগুলো সংশোধন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিশেষ করে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠানগুলো স্থগিত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ১৭ মার্চ ফজর নামাযের পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, সমগ্র দেশবাসী এবং করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসীকে হেফাজতের লক্ষ্যে দুই হাজার ৩৮১ জন হাফেজ এক হাজার ২০০ কোরান খতমের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হবে।

তিনি জানান, সকাল আটটায় খুলনা বেতার কেন্দ্রে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সকাল সোয়া আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে আটটায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেক কাটা উৎসব চলবে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে আতশবাজির আয়োজন করা হবে। আলোচনা সভা এবং র‌্যালি বাদ রেখে আগে গ্রহণ করা অন্যান্য কর্মসূচিও পালন করা হবে।

এছাড়া ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে শুধুমাত্র রাত নয়টায় এক মিনিটের জন্য সকল বাতি নিভিয়ে ব্ল্যাক আউট পালন করা হবে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে কুচকাওয়াজ, মাঠে সমাবেশ, মুক্তিযোদ্ধাদের সামাবেশ এবং আলোচনা সভা বাদ রেখে অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপন করা হবে। গল্লামারি শহিদ স্মৃতি সৌধে ব্যাপক সমাগম না ঘটিয়ে যার যার মতো করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এহসান শাহ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন