পুলিশের বিশেষায়িত এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‌্যাব) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে র‌্যাব আত্মপ্রকাশ করে। ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর দিনটিকে রেইজিং ডে হিসেবে পালন করে আসছে সংস্থাটি। বর্তমানে বাহিনীটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) পিপিএম(বার) ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দেয় এবং একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে।

বর্তমানে সারা দেশে এই এলিট ফোর্সটির ব্যাটেলিয়ন সংখ্যা ১৫টি। গতবছর পার্বত্য জেলা কক্সবাজার, টেকনাফ ও রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি নিয়ে গঠিত হয় এই ব্যাটালিয়ান। এছাড়া নতুন আরও দুটি ব্যাটালিয়ন চালু হলে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭-তে। খুলনা, সাতক্ষীরা, মোংলা ও দুবলারচর ঘিরে গঠিত র‌্যাব-১৬ ও পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা ও কুয়াকাটা নিয়ে গঠিত র‌্যাব-১৭ গঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই র‌্যাব দেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়া বিশেষ দিনগুলোতেও তাদের নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।

বিশেষ করে গতবছরের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ক্যাসিনো অভিযানে বড়বড় রাঘব বোয়ালদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনে বাহিনীটি। যাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মাদক, অস্ত্র ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম। বিগত বছরগুলোতে নানা আনুষ্ঠানিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তর ও অন্যান্য ব্যাটালিয়ানে পালন করা হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এতে সাহসিকতা ও সেবা দুই ক্যাটাগরিতে কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে এবছর করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। রিপোর্ট টু র‌্যাব মোবাইল অ্যাপস সন্ত্রাস, মাদকসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানাতে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে সন্ত্রাসী তথ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরাধ, নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য, খুন, অপহরণ, মাদক, ডাকাতির বিষয়ে যে কেউ সহজে জানাতে পারবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন কাশেম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘র‌্যাব এলিট ফোর্স নামে পরিচিত। আমরা বন্ধুর মতো সাধারণ মানুষের পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকবো। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এই দেশকে জঙ্গিমুক্ত করা। সেই সঙ্গে দেশ থেকে মাদক, অস্ত্রকারবারি ও সন্ত্রাস মুক্ত করা। এই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সচেষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’ ‘আমাদের বেশকিছু ঈর্ষণীয় সাফল্য রয়েছে। যার মধ্যে একটি অপারেশ সুন্দরবন। যে সুন্দরবন ছিল একসময় ডাকাতের অভরায়াণ্য। আমরা সেখান থেকে ডাকাতদের উৎখাত করায় শান্তির সুবাতাস বইছে। জেলেরা সুন্দরভাবে জাল দিয়ে মাছ ধরছে সঙ্গে পশুপাখির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারব।’





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন