ইয়ারব হোসেন: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়ানের নারানপুর গ্রামে হাছান (১৮) নামে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানয়, গত ১ সপ্তাহ দরে ওই কলেজ ছাত্র জ্বরে ভুগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মারা যায়। এ নিয়ে এলাকাবাসির মাঝে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কলেজ ছাত্রের মা রোজিনা খাতুন জানান, গত ৬-৭ দিন ধরে হাছানের জ্বর ছিল। তেমন খাওয়া দাওয়া করতে পারেনি। পরে স্থানীয় গ্রাম ডাক্তারের কাছ থেকে ওষূধ নিয়ে খাওয়ানো হয় কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। অতপর বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার গাল দিয়ে রক্ত বের হয়।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, মা ও বাবার ছাড়া লাশের পাশে কেউ নেই। ভয়ে লাশ দেখছে না এলাকাবাসী। এবং গ্রাম পুলিশ ওই বাড়িতে কাউকে ঢুকতেও দিচেছ না। কিছু দূরে তার পরিবারের সদস্যরা বসে আছে।
সিভিল সার্জন জানান, নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি মেডিকেল টীম ওই বাড়িতে পাঠানো হচেছ।

এদিকে ঘটনা শুনেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী ও সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন এবং সাতক্ষীরা থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান । ঘটনাস্থল থেকে ফিরে নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত হাসানের লাশ দাফন কারী সহ হাসানের সংস্পর্শে আসা তিনটি পরিবারের ১৭ জন কে লক ডাউন  করে হোমকয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।

ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী  জানান,মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর প্রকৃিয়া চলছে।তিনি আরো জানান, লক ডাউন করা ১৭ জন মানুষের কাছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে সাথে সাথে তাদের বাড়িতে লাল ফ্রাগ টানানো হয়েছে।তবে  লক ডাউন করা বাড়ি গুলোতে পুলিশ মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন।

এদিকে এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) সকল কে আতঙ্কিত না  হতে পরামর্শ দিয়েছেন। সাথে সাথে তিনি মিডিয়ার সবাইকে এ সংক্রান্ত নর্মস এটিকেট/ বিধি, প্রাইভেসি মেনে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জাানিয়েছেন। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন