বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন এবং বাহিনীর সদস্যদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।

তাঁদের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে যাচ্ছেন, তাঁদের সাথে কথা বলছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সদা তৎপর রয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় টিম-১২ আজ ১৬ জুন, ২০২০ মঙ্গলবার ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন) মোঃ আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসাশন-সদরদপ্তর) মোঃ আশিক হাসান ও সহকারী পুলিশ কমিশনার(ফোর্স) কে. এন. রায় নিয়তি ইমপালস হাসপাতাল লিমিটেডে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান। তাঁরা করোনা আক্রান্ত প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে সরেজমিন পরিদর্শন করেন, তাঁদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবাসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে খোঁজ নেন। ইমপালস হাসপাতালে ডিউটি ম্যানেজার জনাব মোঃ জিলানী প্রতিনিধিদলকে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে সহায়তা করেন।

চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যরা ও তাদের পরিবারবর্গ ইমপালস হাসপাতাল কে পুলিশ সদস্যদের করোনা চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেডলি নির্বাচন করাকে বাংলাদেশ পুলিশের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এই জন্য তারা এই ভিশনারি পদক্ষেপের ধারক ও বাস্তবায়নকারী সম্মানিত আইজিপি মহোদয় এর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতাবোধ জ্ঞাপন করেন । ডিএমপি কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনায় নিজ নিজ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের অধনস্ত করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। এজন্য চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যবৃন্দ কমিশনার মহোদয়সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধ জানান। এছাড়াও চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে পরিদর্শন দলের কাছে তারা প্রশংসা করেন। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মনোবল যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে। পরিদর্শন দল তাদের কাছে ডিএমপি কমিশনারের বার্তা এবং তাদের কল্যাণে আইজিপি মহোদয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছি।

এছাড়াও পরিদর্শন দল কোয়ারেন্টাইনকৃত পুলিশ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা দেখার জন্য পল্লবী থানা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং উত্তরা পুলিশ লাইনস, দিয়াবাড়ি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শন করেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যবৃন্দ বড় কোন অসুবিধা ছাড়াই ভাল আছেন।

উল্লেখ্য যে পরিদর্শনকালে উক্ত হাসপাতাল এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় ইমপালস হাসপাতালে ডিএমপির পাশাপাশি ভোলা জেলা, টাঙ্গাইল জেলা, র‍্যাব ফোর্সেস, এসবি, এপিবিএন, সিআইডি, নৌ পুলিশ, বরিশালমেট্রো, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসপিবিএন সহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ১৮২ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়াও পল্লবী থানা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ০৩ জন এবং উত্তরা পুলিশ লাইন্স দিয়াবাড়ি করেন সেন্টারে ৩১ জন পুলিশ সদস্য কোয়ারেন্টাইন এ আছেন।

বিশ্বময় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরু থেকে জনগনের পাশে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। জনগনকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করেই ফ্রন্ট-ফাইটার বা সম্মুখ যোদ্ধা খেতাব পেয়েছেন পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা। মানুষকে বাঁচাতে নিজেরাও আক্রান্ত হয়েছেন ব্যাপকভাবে।

সংবাদসূত্রঃ ডিএমপি নিউজ





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন