নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জেগোপন অভিযান পরিচালনায় বিপুল পরিমানে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। এই সময় পুলিশ প্রায় ১৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকারও৷ বেশি।
শনিবার(২৭শে জুন) রূপগঞ্জ থানাধীন গাউছিয়া টু ঢাকা সড়কের পাশে কাঞ্চন টোল প্লাজায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে ।
রোববার(২৮শে জুন) দুপুরে জেলা পুলিশের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহিদ(৫০), মোঃ আমির হোসেন শাহিন (৩০) ও মোঃ সুমন আহম্মেদ (৩২)। তাদের সাথে ইয়াবা ট্যাবলেট বহনকারী একটি টাটা প্রাইম মুভার লরী(রেজিঃ নং- চট্রঃ মেট্রোঃ ঢ- ৮১-২৭৮৭) আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের সার্বিক তত্বাবধানে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অফিসার ইনচার্জ (ডিবি পশ্চিম) আলমগীর হোসেন। তার সাথে সহায়তা করেন এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও পুলিশ অন্যান্য পুলিশ সদস্য ।
জেলা পুলিশের দপ্তর থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এই তথ্য সাংবাদিদের তুলে ধরনের।
সূত্রমতে জানা যায়, গত ২৭/০৬/২০২০ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, পিপিএম(বার) এর তত্ত্বাবধানে , অফিসার ইনচার্জ (ডিবি পশ্চিম) জনাব এস এম আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই খোকন চন্দ্র সরকার সংঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ০২.০৫ ঘটিকার সময় রূপগঞ্জ থানাধীন কেন্দুয়া দাস সাকিনস্থ কাঞ্চন টোল প্লাজা সংলগ্ন গাউছিয়া টু ঢাকা সড়কের উত্তর পার্শ্বে তিন কন্যা রেস্তোরার সামনে খালি যায়গার উপর ১টি টাটা প্রাইম মুভার(লরী) গাড়ীর ভিতর হইতে আসামী ১। মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহিদ(৫০), পিতা- মৃত মজিবর রহমান, সাং- রাজারবাগ(আমলাবো), থানা- বেলাব, জেলা- নরসিংদী, ২। মোঃ আমির হোসেন শাহিন (৩০) (ড্রাইভার শাহিন) পিতা- মোঃ নুর আলম, সাং- হাসান গনিপুর(৩নং পূর্ব চন্দ্রপুর ইউপি), থানা- দাগনভূইয়া, জেলা- ফেনী ও ৩। মোঃ সুমন আহম্মেদ (৩২), পিতা- মৃত আবুল হাসেম, সাং- দক্ষিণ করিমপুর(৬নং দাগনভূইয়া ইউপি), থানা- দাগনভূইয়া, জেলার ঐ ৩আসামীদের কে গ্রেফতার করে। সাক্ষীদের সম্মূখ হতে ধৃত ১ নং আসামী মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহিদের পরিহিত লুঙ্গির কোঁচর হইতে বিশেষভাবে বাধা একটি ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত ৫০টি নীল জিপারের মধ্যে মোট ১০,০০০(দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ২। মোঃ আমির হোসেন শাহিন(ড্রাইভার শাহিন) এর পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট হইতে ১০টি নীল জিপারের মধ্যে মোট ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩। মোঃ সুমন আহম্মেদের পরিহিত প্যান্টের বাম পকেট হইতে ২টি নীল জিপারের মধ্যে মোট ৩০০ (তিনশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আসামীদের নিজ নিজ হাতে বাহির করিয়া দেয়া মতে এবং উক্ত আসামীদের দেখানো মতে উক্ত টাটা প্রাইম মুভার লরীর ড্রাইভিং সিটের নিচে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ২০টি নীল জিপারের মধ্যে ৪,০০০(চার হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সর্ব মোট ১৬,৮০০(ষোল হাজার আটশত) পিস লালচে বর্ণের ইয়াবা ট্যাবলেট যাহার ওজন ১৬১২.৮ গ্রাম, মূল্য আনুমানিক ৫০,৪০,০০০/-(পঞ্চাশ লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা।
তাহাদের নিজ হাতে বাহির করিয়া দেওয়া উক্ত টাটা প্রাইম মুভার লরী গাড়ী যাহার রেজিঃ নং- চট্রঃ মেট্রোঃ ঢ- ৮১-২৭৮৭, ইঞ্জিঃ নং- B5.91803271M63652484 এবং চেসিস নং- MAT447223J2R00354 উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয় ।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , তারা উক্ত মাদক দ্রব্য গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহিদের স্ত্রী পলাতক আসামী ৪। মোসাঃ খালেদা বেগম(৪৫), স্বামী- মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহিদ, পিতা- মৃত উলা মিয়া, সাং- কানজরপাড়া, পোষ্ট- নয়াপাড়া, থানা- টেকনাফ ও কক্সবাজার হতে আনা হয়েছে । গ্রেফতারকৃত আসামীগণ ও পলাতক আসামী একে অপরের সহায়তায় টেকনাফ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট প্রাইম মুভার লরী গাড়ীর মাধ্যমে আনিয়া নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রয় করিয়া থাকে। মাদক উদ্ধার অভিযান শেষে বাদী রূপগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করিলে রূপগঞ্জ থানার মামলা নং-৪৫, তাং-২৭/০৬/২০২০ খ্রিঃ, ধারা- ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) টেবিল ১০(গ)/ ৩৮/৪০ রুজু হয়। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন না.গঞ্জ জেলায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিযান পরিচালনা করেন, তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।