কোভিড-১৯ চিকিৎসা নিয়ে খুলনাতে যেন বাণিজ্য না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন।  করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় তিনি একথা বলেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে সকালে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সচিব আরও বলেন, খুলনার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো যেন কোভিড-১৯ চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার সুযোগ না পায়। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাইসেন্স নবায়নসহ সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সকল দপ্তরের সমন্বয়ে সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ অব্যাহত রাখলে খুলনায় সংক্রমণের হার কমে আসবে। সভায় আলোচনা শেষে আরও কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়: জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ ঘটানো হবে। সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়পত্র লাগবে। ঈদ-উল-আযহায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থল ত্যাগ করবেন না। আমদানি হলেই খুলনায় আরও একটি করোনাভাইরাস পরীক্ষার পিসিআর মেশিন এবং কোভিড হাসপাতালে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা হবে। খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের দপ্তর প্রয়োজন হলে বিভাগের অন্য জেলা-উপজেলা হতে চিকিৎসক ও নার্সদের কোভিড হাসপাতালে পদায়নের ব্যবস্থা করবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শারীরিকভাবে বেশি অসুস্থ্য রোগীদের দ্রুত করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করা।
সভায় জেলা প্রশাসক জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধু স্বাস্থ্যবিধি না মানাতে ১ হাজার ৫১২ জনকে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নে লকডাউনের ফলে গত দুই সপ্তাহে ঐ সকল এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকাংশে কমেছে।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হোসেন আলী খোন্দকার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের উপপরিচালক ডা. শামীম আরা নাজনীন, খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলী, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এসএম আউয়াল হক, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন