করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজশাহী শহরে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে এই লকডাউন শুরু হয়েছে। নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। টহলে আছেন র্যাব সদস্যরাও। লকডাউন বাস্তবায়নে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
বিকাল পাঁচটার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। এ সময় তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে সাতদিন কঠোর লকডাউন হবে। লকডাউন মানে লকডাউন। আমরা চাই একটা কমপ্লিট লকডাউন।’
পরে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে নিয়ে সাহেববাজার ও আরডিএ মার্কেট এলাকা পরিদর্শন করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের লকডাউনের বিষয়ে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
সারাদেশে চলমান লকডাউনের মধ্যেই করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মহানগর এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। তিনি জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
এর আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজশাহীতে দুদফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হলো। বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলাতেই এখন সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই করোনায় দশ পনেরজন করে মারা যাচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেলে। হাসপাতালেও ফুরিয়েছে করোনা রোগী রাখার জায়গা।