র‌্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা।তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশেল বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নীলফামারীর পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপ কমিশনার (ডিসি) এবং ঢাকা পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরে তিনি ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (অপারেশনস) এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট তাকে সিআইডির প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল তাকে র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামুন ব্যক্তিগত জীবনে তায়েবা মুসার্রাত জাহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক কন্যা রয়েছে।

র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে র‌্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জল করে তুলেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। দেশের মানুষ এখন আর বলেনা র‌্যাবে গুম করে, খুন করে উধাও করে দেয়।খবরের কাগজ বা টিভির সংবাদ চ্যালেন ওপেন করলে দেখা যায় দেশের ৬৪ টি জেলা থেকে প্রতিদিনই র‌্যাব সদস্যরা বিপুল পরিমানে মাদক ধরছে,বিপুল পরিমানে অস্ত্র উদ্ধার করছে অথবা চাঞ্চল্যকর কোন ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে।র‌্যাবের বোডিসপোজাল নিউনিট তাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে তল্লাসি করে শোলাকিয়ায় সর্ববৃহৎ ঈদের নামাজ সহ দেশি ও বিদেশী রাষ্ট্রীয় অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। 

সম্প্রতি কিশোর গ্যাং দমনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়া যুবক, টিকটক বয়দের আটক করে দেশ ব্যাপী সাড়া ফেলেছেন  র‌্যাব।তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন দেশে কোন কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব থাকবেনা।সম্প্রতি রাজধানীতে রগ কিং গ্যাংয়ের ৫ সদস্যে আটক করে দেশ ব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে র‌্যাব।

এছাড়া হেফাজাতের সহিংসতা দমন ও মোদী বিরোধী আন্দোলন কারীদের কঠোর হস্তে দমন করে বিদেশের কাছে দেশের সন্মান রক্ষা করেছে এই ক্লিন ইমেজধারী কর্মকর্তা র‌্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। র‌্যাব কে একটি সুশৃঙ্খল ও আদর্শ বাহিনীতে পরিণত করতে ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে  তিনি দিন-রাত নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন