১ জুলাই থেকে রাজধানীতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম-বার।
করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে ১ জুলাই, ২০২১ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই, ২০২১ মধ্যরাত পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সপ্তাহব্যাপী জারিকৃত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বুধবার (৩০ জুন, ২০২১) দুপুর ১২:০০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত কেউ বের হলে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ২৬৯ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। (দন্ডবিধির ২৬৯ ধারায় বলা আছে, “যে ব্যক্তি বেআইনীভাবে বা অবহেলাজনিতভাবে এমন কোন কাজ করে যাহা দ্বারা জীবন বিপন্নকারী কোন রোগের সংক্রমণ বিস্তার লাভের সম্ভাবনা রহিয়াছে এবং যাহা দ্বারা জীবন বিপন্নকারী রোগের বিস্তার লাভ করিতে পারে বলিয়া সে জানে বা বিশ্বাস করে, সেই ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে, যাহার মেয়াদ ছয় মাস পর্যন্ত হইতে পারে বা জরিমানাদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবে”।)
তিনি আরো বলেন, দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার ও কাচাঁবাজার খোলা থাকবে। কাচাঁবাজার উন্মুক্ত স্থানে সরিয়ে আনা হবে। নিকটতম কাচাঁবাজারে প্রয়োজনে রিকশা ব্যবহার করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল করবে না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট ও পাসপোর্ট প্রদর্শন করে গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন।
নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুলিশ যতটা কঠোর হবে আপনারা ততটা নিরাপদ থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে চলাচল করতে পারবেন। কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচলে কোন অসুবিধা নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সকল ধরণের ক্লাব বন্ধ থাকবে। অলি-গলিতে থাকা সকল দোকান বন্ধ থাকবে। এছাড়া জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জরুরী সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিগণ যিনি নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে যাতায়াতের সুবিধা পাবেন না, শুধুমাত্র তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন।
জরুরী প্রয়োজনে যারা বের হবেন তাদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরার অনুরোধ জানান তিনি।