ভয়ঙ্কর কোভিডের প্রকোপ রুখতে চলছে টানা লকডাউন। কিন্তু সাধারণ মানুষ পূর্ণ সচেতন না হওয়ায় অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরণের ভয়াবহ বিস্তারের রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না মোটেও। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ডের ভাঙাগড়া রয়েছে অব্যাহত। কঠিন এমন বাস্তবতায় সরকারের নির্দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গত ১৩ দিন যাবত দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ময়মনসিংহের পর এবার খুলনায় নিজ বাহিনীর টহল কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এর মাধ্যমে মূলত মাঠ পর্যায়ের তৎপরতা স্বচক্ষেই প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে কথা বলেছেন দায়িত্বরত সেনা সদস্যদের সঙ্গেও। দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা।
সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। তিনি খুলনা জেলায় চলমান ‘অপারেশন কোভিডশিল্ড’র দ্বিতীয় পর্বে সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম দেখেও সন্তোষ প্রকাশ করেন। খবর আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন চলমান করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে সরকার প্রদত্ত বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোভিড-১৯ মহামারিসহ যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের দিকনির্দেশনায় বেসামরিক প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীসমূহের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ:মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা,Rab-6 এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ, খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার,খুলনার এসপি মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের খুলনা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, এখানকার সেনা সদস্যরা কোন রকম বল প্রয়োগ নয়, উদ্বুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন করে যাচ্ছেন। মাইকিং করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছেন।
টহল পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের জটলা ভেঙে দেয়া, সড়ক ও বাজারে টহল বাড়ানোসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সেনাপ্রধানের এ সফরের মধ্যে দিয়ে মাঠ পর্যায়ের সেনা সদস্যরা উজ্জীবিত হয়েছেন।