মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : পাঠকের দৃষ্টিপাত গতকাল একুশ বছরে পদার্পন করেছে। জন্ম দিনে দৃষ্টিপাত ভবনে আলোঝলমলে উৎসবের ডালমেলে, আলোক আভার বিচ্ছুরন ছড়িয়ে আনন্দ স্রোতের প্রবাহের ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে বিশেষ এক আবহের অবতরনা ঘটে। সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, সত্যকে সত্য মিথ্যাকে মিথ্যা বলার দুর্দান্ত ইচ্ছাশক্তি অনিয়ম, দুর্ণিতী, অব্যবস্থাপনা কে প্রতিপক্ষ মেনে এবং উন্নয়ন, অগ্রগতি, কে সঙ্গী করে জঙ্গীবাদ, মাদক কে না বলা সহ সব ধরনের প্রতিশ্রুতি আর শফতের মাধ্যমে কেক কেটে আগামীর পথ চলাকে আরও কাঙ্খিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষনা করলেন দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও প্রকাশক জি,এম নূর ইসলাম। দৃষ্টিপাত পরিবার, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, সংবাদকর্মি, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাহিত্যিক, সহ বিভিন্ন পেশাজীবি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোকিত। প্রাণছোয়া কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমদ বাপ্পী, সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক প্রতিথযশা দন্ত চিকিৎসক আলহাজ্ব আবুল কালাম বাবলা, ফিফা রেফারী ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব তৈয়ব হাসান বাবু, জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বাবু, শ্রমিক নেতা প্রকৌশলী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু। উপস্থিত ছিলেন ডা. শাহজাহান, জেলা প্রাথঃ কর্মচারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মি প্রদীপ কুমার মন্ডল, এ্যাড. শেখ তামিম আহমদ সোহাগ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও মুক্ত স্বাধীন সম্পাদক আবুল কালাম, সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নাসির উদ্দীন, সহ-সভাপতি মানিরুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, আ’লীগ নেতা সাংবাদিক সৈয়দ মহিউদ্দীন হাসেমী তপু, এড. আব্দুস সামাদ। আনন্দস্রোতের জন্মদিনের আলোকিত আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, একজন জিএম নূর ইসলাম কেবল একজন মানুষ নন, তিনি ত্যাগী, অধ্যবসায়ী, সংস্কারক, সৃষ্টিশীল, কাজ প্রিয় তিনি একক একটি প্রতিষ্ঠান যার ফসল দৃষ্টিপাত, দীর্ঘ বিশ বছর গণ- মানুষের ইচ্ছার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে চলা দৃষ্টিপাত কে বাঁচিয়ে রাখার মহাকারিগর দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম, তিনি আশা প্রকাশ করেন দৃষ্টিপাত তার বর্তমান অবস্থান, সুনাম, সুখ্যাতি, গ্রহনযোগ্যতা রক্ষা করবেন। দৃষ্টিপাত পরিবারের সকল সদস্য সহ আগত অতিথীদের তিনি ধন্যবাদ জানান। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমদ বাপ্পী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন, প্রতিথযশা সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব আবুল কালাম বাবলা সহ অপরাপর অতিথিদের দৃষ্টিপাতের জন্মদিনে উপস্থিত হওয়ায় জন্মদিনকে সমৃদ্ধ করেছে। দৃষ্টিপাত সম্পাদকের দুই পুত্র পিতার ন্যায় কাজ প্রিয় আর তাই পিতার সৃষ্টি দৃষ্টিপাত অনেক সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছে। দৃষ্টিপাত সম্পাদকের সহধর্মিনীর মৃত্যুতে তিনি দৃষ্টিপাতের শুন্যতা অনুভব করে বলেন নিশ্চই দৃষ্টিপাত সম্পাদক শোক কাটিয়ে উঠবেন। এর পূর্বে দৃষ্টিপাত ভবনে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও প্রকাশক জিএম নূর ইসলাম, নির্বাহী সম্পাদক আবু তালেব মোল্ল্যা, মফস্বল সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, বার্তা সম্পাদক আদম শফিউল্লাহ, সহ সম্পাদক জি.এম ওমর ফারুক, চীফ রিপোর্টার মাছুদুর জামান সুমন, আদালত প্রতিবেদক এ্যাড. তপন কুমার দাস, স্টাফ রিপোর্টার মীর আবু বকর, ম্যানেজার বুলবুল, বিশেষ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, স্টাফ প্রধান আনছার আলী মাস্টার, আব্দুল আখের, নয়ন আফ্রিদি সহ পরিবারের অপরাপর সদস্যরা। আনন্দ আয়োজনের জন্মদিনে অতিথিরা দৃষ্টিপাতের সত্য, নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা সহ সদা আলোকিত অবস্থানের ভূয়সি প্রশংসা করেন। দৃষ্টিপাতের চলার পথে পাঠকই সর্বেসধা, পাঠকই শক্তি এবং পাঠকের কারনেই দৃষ্টিপাত আজ দৃষ্টিপাতে পরিনত হয়েছে এমন স্বতস্ফুর্ত মতামত ব্যক্ত করেন আগত অতিথিরা, সাতক্ষীরা সহ আশপাশের পাঠকরা প্রকৃত খবর, এবং খবরের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করতে দৃষ্টিপাতকে অনুসরন করে। আর এখানেই গন মানুষের পত্রিকাটির স্বার্থকতা। এমনও মন্তব্য করেন জন্ম দিনে আগত বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন। এছাড়া বাদ আছর দৃষ্টিপাত ভবনে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাংবাদিক ব্যবসায়ী ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন মাসজিদে কুবার পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান।