ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মুক্ত পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠানাদি পালন করে। কোনো দুষ্কৃতিকারী বা উস্কানিদাতা যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১০টায় রাজধানীর রমনায় শ্রী শ্রী রমনা কালীমন্দির ও শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রমে দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর অনুষ্ঠান পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এরপর তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। এসময় পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে র্যাব-প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে যদি কেউ আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়, তবে সে হিন্দু বা মুসলিম যে ধর্মেরই হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার। সব ধর্মের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে বসবাস করি। ন্যায়ের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে সম্প্রীতির যে দৃষ্টান্ত আমরা বিশ্বের বুকে স্থাপন করেছি, সামান্য কিছু ঘটনা তা নষ্ট করতে পারবে না।
দেশের সকল মন্দির কমিটির উদ্দেশে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আপনারা পূজা উদযাপন শেষে রাত ১২টা কিংবা ১টার দিকে সবাই চলে যাবেন। কিন্তু এখানকার যারা স্বেচ্ছাসেবক, তারা কেউ না কেউ যেন সারারাত থাকেন। কারণ, কেউ যখন না থাকেন, এই সুযোগে কোনো এক দুষ্কৃতিকারী হয়তো একটা অঘটন ঘটাবে, যার ফলে সমগ্র উদযাপন পণ্ড হবে।
র্যাব ডিজি বলেন, গভীর রাতে যদি কেউ অঘটন ঘটাতে আসে, তাকে সাহস করে ধরে রাখবেন। যদি ধরতে না পারেন, তাহলে তাকে চিনে রাখেন। পারলে একটা ছবি তুলে রাখবেন। আমরা শনাক্ত করে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।