কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার) বলেছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তে সাইবার পেট্রোলিংয়ে দক্ষ অফিসার তৈরির কোনো বিকল্প নেই।
সাইবার অপরাধবিষয়ক তদন্তে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্স মূল্যায়ন করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট দেন আসাদুজ্জামান।
বক্তব্যে তিনি সাইবার ক্রাইমের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি জেলায় দক্ষ অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল গঠনে ঢাকা রেঞ্জের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধ ও অপরাধীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্প্রতি ঢাকা রেঞ্জের অধীন ১৩টি জেলার প্রতিটিতে ৫ জন অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে ‘সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল’ গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জ থেকে একজন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত একটি সেল রেঞ্জের অধীন জেলাগুলোর সব সেলের সঙ্গে সমন্বয় এবং পরবর্তী কার্যক্রম-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেবে।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন নাশকতামূলক সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে এ মনিটিরিং সেল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সাইবার অপরাধবিষয়ক তদন্তে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা রেঞ্জের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী দুই দফায় এ সেলের ৭০ জন অফিসার ও ফোর্সকে সাইবার ক্রাইমের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা, ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ও সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা এ প্রশিক্ষণ দেন।
প্রশিক্ষণের সমাপনী হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এতে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।