রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘জড়িতদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে । মঙ্গলবার সচিবলায়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার সকালে সচিবলায়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় সংঘর্ষের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুলডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
সোমবার মধ্যরাতে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের গেটে এবং ব্যবসায়ীরা চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
উভয়পক্ষই ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান করছে। অনেকেই হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
মঙ্গলবার সকালে সচিবলায়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন,পুলিশের আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার,র্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন,ডিএমপি কমিশনার মোহা শফিকুল ইসলাম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মাহাবুব রিপন,সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান সহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিট প্রধান সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েয় উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।