মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে পদ্মাসেতু। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহের আগে আমরা পদ্মাসেতু খুলে দেব। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করবেন।

শনিবার (২১ মে) শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অংশীজনদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মাসেতুর জন্য শরীয়তপুরের পদ্মাপাড়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ত্যাগ ও সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও কঠোর নির্দেশনার কারণে শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা সৎভাবে পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। পদ্মাসেতুর কাজ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে ব্যাংক চেক প্রদান করেছেন। যে কারণে আমরা কোন সময় ক্ষেপণ না করে দ্রুত কাজ সমাপ্ত করতে পেরেছি।

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইসলামে উগ্রবাদের কোন স্থান নেই। মুসলমানরা কখনো আক্রান্ত না হলে প্রতিপক্ষের উপর আঘাত করেনা। নিজেকে রক্ষার জন্য অস্ত্র ধরে।

বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিএমপি ঢাকার আয়োজনে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্য অংশীজনদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, আমাদের শরীয়তপুর অঞ্চলটি শোষণ ও বঞ্চনার ভিতর ছিল। কিন্তু তা এখন নেই। এখন উগ্রবাদী তৎপরতা না থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জনপ্রতি ৫০০ ডলারের ইনকাম ছিল তা এখন ২৬০০ ডলারের কাছে পৌঁছে গেছে। তা কিন্তু এভাবে যায়নি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবো।

শরীয়তপুরে উগ্রবাদ প্রতিরোধে প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। ছবি- ইত্তেফাক
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের, দেশের, সমাজের, কমিউনিটি ও নাগরিকের সঙ্গে উগ্রবাদীর কোন সম্পর্ক নেই। উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আমাদের দেশে বার বার এ বিজাতীয় সংস্কৃতি আছরে পড়ার চেষ্টা করেছে এবং প্রতিবারই আমরা এদেশের সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তা নিয়ে এদের নির্মূল করেছি। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উন্নয়নের বন্দরে রকেট গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সেই যাত্রায় শরিক হব।

জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটিটিসি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সদ্য  পদন্নোতি প্রাপ্ত ডিআইজি মো: আসাদুজ্জামান প্রমুখ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন