অবশেষে নাটকীয় গুম হওয়া সেই ইজিবাইক চালক আশরাফুজ্জামান শিমুল কে উদ্ধার করে দিলো সাতক্ষীরা থানা পুলিশ।সাতক্ষীরা থানার জিডি নং ১৬৭০ তারিখ : ২৬/০৫/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ মোতাবেক সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান কলেজ এলাকায় বাড়ি মো: হোসেন আলি সাতক্ষীরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। সেই সাধারণ ডায়েরীতে হোসেন আলী উল্লেখ করেন তার ছেলে আরিফুজ্জামান শিমুল(২২) একজন ইজিবাইক চালক। সে গত ২৪-৫-২২ তারিখ সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে জীবীকার টানে বের হয়ে সে আর বাড়ি আসেনি। হোসেন আলী মনে করেছিলেন তার ছেলে শিমুল কে হয়তো বা ছিনতাই কারীরা খুন করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে গেছেন।প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেলো শিমুলের কোন সন্ধান পাওয়া গেলো না।
পরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ সজীব খানের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ছায়া তদন্তে নামেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) কনক কুমার দাসের তত্বাবধায়নে সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ কুমার,ডিবির ইনচার্জ বাবুল আক্তার,ইন্সপেক্টর (অপারেশন) তারিক আজিজ ও কাটিয়া ফাড়ির সাব-ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স।
দীর্ঘ ১৫ দিন শ্বাসরুদ্ধ কর অভিযান শেষে তথ্যপ্রযুক্তি র মাধ্যমে গতকাল গাজীপুর গাছা থানা এলাকা হইতে নিখোজ শিমুল ও তার স্ত্রী কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সাব-ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।
সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার আপডেট সাতক্ষীরা কে জানান,উদ্ধারকৃত শিমুল কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়,শিমুল তার প্রথম স্ত্রী কে তালাক দিয়ে সুরাইয়া নামক ২য় স্ত্রী কে বিবাহ করে।পরে ২য় স্ত্রী কে ফেলে তালাক প্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী কে সাথে নিয়ে তার ইজিবাইক টি বিক্রি করে গাজীপুরে বাসা ভাড়া করে থাকতো।ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ কুমার জানান,শিমুল কে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি জেনে সুশীল সমাজ মনে করেন ,এভাবে পুলিশ কে হয়রানী করা আদৌ ঠিক না। আপনার ছেলে ইজিবাইক বিক্রি করে পালিয়ে থাকবে আর আপনি থানায় এসে জিডি করে পুলিশের ভোগান্তি দেবেন আর পুলিশের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন,, এটা কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারেনা।