পাঠকের নিরন্তর ভালোবাসা নিয়ে প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে দৈনিক কালের চিত্র কালো অক্ষরের পৃষ্ঠার ভাজে হাজির হচ্ছে আমাদের সামনে। গত এক দশক ধরে দৈনিক কালের চিত্র’র এই বিরামহীন প্রকাশনা সাতক্ষীরা অঞ্চলের সাংবাদিকতাকে গতিশীল করে তুলেছে। পত্রিকাটি সকল সময়ে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনের মতো অনুসঙ্গকে কোনভাবেই কলূষিত হতে দেয়নি। একইসাথে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, সমাজের বিশৃংখলার বিরুদ্ধেও পত্রিকার শক্তিশালী অবস্থান এ অঞ্চলের পাঠক সমাজকে সমৃদ্ধ করেছে।
শুক্রবার সাতক্ষীরার বহুল প্রচারিত নন্দিত পত্রিকা দৈনিক কালের চিত্র’র প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পূর্তি ও ১১ বছরে পদার্পন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা এলজিইডি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে এসব কথা তুলে ধরেন অভ্যাগত অতিথিরা। তারা বলেন, এই পত্রিকা আমাদের দিক নির্দেশক। এই পত্রিকা সমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে গনতন্ত্র এবং দেশে উন্নয়ন বারবার প্রশংসিত হচ্ছে।
পত্রিকাটির সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. আফম রুহুল হক-এমপি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ্। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা পত্রিকাটি প্রতিদিন পাঠ করে যা জানতে পারি তা হলো, দৈনিক কালের চিত্র সমাজের কোন নেতিবাচক বিষয়ের সাথে আপোষ করে না বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তুলে ধরে জনকল্যানে কাজ করে। এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন, স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রাক্কালে পত্রিকাটি নিজের অবস্থানকে পরিষ্কার করে দেশের উন্নয়ন সফলতাকে তুলে ধরেছে। এই পত্রিকাটি শতায়ু হবে এমন প্রত্যাশা আমাদের।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার বলেন, সমাজের দর্পন হিসেবে দৈনিক কালের চিত্র সব খবর তুলে ধরে গণতান্ত্রিক সেবা দিচ্ছে। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এমনকি কোভিড-১৯ এর মতো ভয়ংকর সময় পার করেও পত্রিকাটি এখনও পাঠক সমাজের টেবিলে পৌছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারতে মহানবী (সা:)কে নিয়ে যে কটূবাক্য উচ্চারণ করে নুপুর শর্মা ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে তারও সমালোচনা করে বাংলাদেশের সকল সংবাদপত্রের মতো দৈনিক কালের চিত্রও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে অতিথি হিসেবে আসায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা অঘটন ঘটলেও সাতক্ষীরাবাসী বিদেশী মেহমানকে সম্মানিত করতে সব উদ্যোগ গ্রহন করেছিল। দৈনিক কালের চিত্র সহ সকল পত্রিকা এই তথ্য তুলে ধরে আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রমত্তা নদী পদ্মার ওপর সেতু নির্মিত হয়েছে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলায় ব্যবসা বানিজ্য, রোগীর চিকিৎসা এবং সাধারণ নাগরিকদের যাতায়াতের যে সুবর্ণ সুযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো তার সক্ষমতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে কালের চিত্র।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মধ্যে কোন বিভেদ না রেখে এক ও অভিন্ন পথে অগ্রসর হয়ে দেশের সংবাদপত্রকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দৈনিক কালের চিত্র মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে যাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। কালের চিত্র সহ দেশের পত্রপত্রিকা এই বিষয়টিকে ধারণ করবে বলে বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম বলেন, দৈনিক কালের চিত্র তার সকল কর্মযজ্ঞের মোহনা হিসেবে পত্রিকাটিকে গড়ে তুলেছে। পত্রিকা প্রকাশনার পথ কখনও সহজ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পত্রিকাটি পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। পত্রিকাটি সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলে সমাজের কল্যান কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নকে আরও অনুপ্রাণিত করার কাজেও নিয়োজিত রয়েছে পত্রিকাটি।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: রেজা খান বলেন, আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ^াস করি। দৈনিক কালের চিত্র সেই স্বাধীনতাকে ধারণ করে সমাজের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশা আমাদের।
বিশেষ অতিথি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু বলেন, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ নিজেই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার কাছ থেকে আমরা অবশ্যই দেশপ্রেমের ও সমাজ উন্নয়নের কথা শুনতে চাই। তার সেই লেখা আমরা দেখতে চাই। তিনি বলেন, আমরা পাঠক সমাজ পত্রিকাটিকে সব সহায়তা দিয়ে যাবো।
বিশেষ অতিথি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতা শেখ আজহার হোসেন বলেন, আমরা দৈনিক কালের চিত্রকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে দেখে আসছে।