ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই এবং প্রতারণার ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার এবং লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধার সংক্রান্তে  আজ ০৮ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ তারিখে পুলিশ লাইন্স ড্রিল সেড প্রাঙ্গণে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার সাংবাদিক দের জানান,

সাতক্ষীরা জেলা একটি সীমান্তবর্তী শহর। সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে অপরাধ প্রবনতার হার তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ উক্ত অপরাধমূলক কার্যক্রম নিবারন কল্পে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সকল জেলার মতো সাতক্ষীরা জেলায় চুরি-ডাকাতি, প্রতারণা এবং ছিনতাই এর মতো ঘটনা ঘটেছে।

উক্ত ঘটনায় অপরাধ মূলক কার্যক্রম বা চুরি-ডাকাতি, প্রতারণা এবং ছিনতাই এর মতো ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার এবং লুষ্ঠিত মলামাল উদ্ধার কল্পে  জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার)এঁর  সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), মোঃ সজীব খানের নেতৃত্বে  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মীর আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা থানার ওসি  স, ম, কাইয়ুম, কলারোয়া থানার ওসি  মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা, জেলা ডিবির ওসি  মোঃ বাবুল আক্তার,  সহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং থানা ও ডিবি পুলিশের চৌকস টিম সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ পার্শ্ববর্তী যশোর, খুলনা এলাকায় বিশেষ শ্বাসরুদ্ধ কর  অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানা এলাকায় ডাকাতি একটি ঘটনায় কলারোয়া থানার মামলা নং-২৯, তাং-২০/০৬/২০২২খ্রিঃ ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলা রুজুর হওয়ার পর মামলার তদন্তভার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা, কলারোয়া থানা, সাতক্ষীরা নিজেই গ্রহণ করেন।

মামলার রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক আসামী গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ)  মোঃ সজীব খানের নেতৃত্বে  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এর তত্ত্বাবধানে সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মীর আসাদুজ্জামান,ওসি কলারোয়া   মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা,ডিবির ওসি বাবুল আক্তার সহ ডিবির টিম সহ থানায় কর্মরত অফিসার ফোর্স ও কলারোয়া থানার এএসআই মোস্তফা  বিভিন্নস্থানে রাতভর সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত আসামী ১। মোঃ আশরাফুল মোল্লা (৪০), পিতা-মৃত শওকত মোল্লা, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-চাঁদকাটি, থানা-তালা, ২। মোঃ শারিফ হোসেন(২৫), পিতা-মোঃ শহিদুল হোসেন, মাতা-রোকেয়া খাতুন, সাং-রাজনগর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, ৩। মোঃ মোসলেম শেখ(৪৫), পিতা-মৃত তারা চান শেখ, মাতা-মৃত কুলসুম বেগম, সাং-বকচারা, থানা-সাতক্ষীরা, ৪। মোঃ আতাউর রহমান বাবলু(৪২), পিতা-মোঃ মোজাম্মেল হক, মাতা-জেলেখা খাতুন, সাং-ডুমুরতলা, থানা-সাতক্ষীরা সদর, ৫। মোঃ রবিউল হোসেন@রবি(৩৫), পিতা-মোঃ হোসেন গাইন, মাতা-মর্জিনা খাতুন, সাং-বকচারা, থানা-সাতক্ষীরা সদর, সর্ব জেলা-সাতক্ষীরা, ৬। মোঃ সাইদুল গাজী(২৫), পিতা-মোঃ মিজানুর গাজী, মাতা-জরিনা বেগম, সাং-সরলগোপালপুর, থানাপাইকগাছা, জেলা-খুলনাদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত হতে নিম্নবর্ণিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান,আটককৃতের নিকট থেকে একটি স্বর্নের টিকলি, একটি স্বর্ণের আংটি, একটি ধারালো দা,  লুষ্ঠিত একটি itel মোবাইল ফোন, একটি Nokia মোবাইল ফোন, নগদ-২২,৫০০/-টাকা,  একজোড়া স্বর্নের রুলি, একটি হাসুদ দা,  একটি ধারালো দা, একটি ছোরা, একটি লোহার চাপাতি ও  একটি গাছি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে আটকৃত দের নামে কলারোয়া থানায় পৃথক ৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন ও ক্রাইম) কনক কুমার দাস, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, কলারোয়া থানার ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা,সাতক্ষীরা থানার ওসি স,ম কাইয়ুম,সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত বিশ্বজিৎ কুমার সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন