নগরবাসী তাদের সুবিধামত স্থানে ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করতে পারবেন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত আছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার)।

ঈদ-উল-আযহার নির্বিঘ্ন উদযাপন নিশ্চিতকরণে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাদির সরেজমিন পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (৮ জুলাই ২০২২) সকাল ১১ টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

সম্মানিত নাগরিকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঈদ-উল-আযহায় আমাদের মূলত চ্যালেঞ্জ থাকে গরুর হাট ব্যবস্থাপনা এবং মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঢাকা শহর ত্যাগ করতে পারে তা নিয়ে। এখন পর্যন্ত আমাদের গরুর হাটের ব্যবস্থাপনা ভালো আছে। এখন পর্যন্ত গরুর হাটে কোন অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি বা ছিনতাইয়ের মত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অধিকাংশ ঢাকাবাসী আজকে থেকে কোরবানির পশু ক্রয় শুরু করবে। এবার অনলাইনে অনেক কোরবানীর পশু কেনাবেচা হচ্ছে, তাই হাটগুলোতে ভীড় তুলনামূলক কিছুটা কম। যারা হাটে কোরবানীর পশু কিনতে যাবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন থাকবে।

ঈদগাহে মোবাইল ডিভাইস নিয়ে আসার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে ডিএমপি কমিশনার বলেন যদি মোবাইল নিয়ে আসেন তাহলে পাঞ্জাবির পকেটে না রেখে হাতে মোবাইল রাখবেন। ব্যাগ আনা যাবে না, তবে বৃষ্টির কারণে ছাতা আনা যাবে। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় সবাইকে মাস্ক পরে ঈদগাহে আসার আহবান জানান তিনি।

ঈদে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে তিনি বলেন, কখনোই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায় না। অনলাইনে তাদের তৎপরতা আছে। কারণ, জঙ্গিরা কখনই বসে থাকে না। সাইবার স্পেসে তাদেরকে নজরদারি করা হচ্ছে। শিয়া সম্প্রদায়, মাজার ভিত্তিক, পীরদের আস্তানা বা উপাসনালয়কেন্দ্রিক যেখানে ঈদের বড় জামাত হয় সেসব জায়গায় জঙ্গিদের টার্গেট থাকে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। সেসকল জায়গায় আমাদের আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ঈদকে সামনে রেখে লক্ষ লক্ষ নগরবাসী আবাসিক এলাকা, বাসা, ফ্ল্যাট খালি রেখে গ্রামে চলে যান। এসব আবাসিক এলাকাগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি যাদের বাসা বাড়িতে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে সেগুলো বিশেষ নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করে যাওয়ার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।

এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণপদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান, বিপিএম (বার);ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুণ অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন