তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহীদ শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা ও আদর্শে বড় হয়েছেন তিনি। শহীদ শেখ কামাল এদেশের আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ। আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্রীড়া জগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন শেখ কামাল। তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ সম্ভাবনাময় তারণ্যের প্রতীক। খেলাধুলা, সংগীত, অভিনয়সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিলো অনস্বীকার্য।
মন্ত্রী আজ (শুক্রবার) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফলমূল, শাকসবজি ও সরিষা বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং তিনি একজন দক্ষ ছাত্র সংগঠক ছিলেন। তেমনিভাবে স্বাধীনতার পর তাঁর কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গণে শেখ কামাল ছিলো বাংলাদেশের এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ক্রিকেট টিমের সদস্য ছিলেন। সৎ, সাহসী ও দক্ষ শেখ কামালকে হত্যা করেও ঘাতকরা তাঁর স্মৃতিকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁর অল্প সময়ের কর্মকান্ডের ফলে যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষ তাকে মনে রাখবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হলো দেশের এক ইঞ্চি মাটিও যেন অনাবাদি না থাকে। সেই লক্ষ্যে আজ এই ফলমূল, শাকসবজি ও সরিষার বীজ বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।