মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারি দপ্তরগুলোসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার না হলে দেশের কোনো উন্নয়ন টেকসই হবে না। দুর্নীতি বাধা হয়ে দাঁড়ালে জাতির উন্নতি সম্ভব হয় না। প্রথমে আমাদের চরিত্র ভালো করতে হবে, তা নাহলে কোনো লাভ হবেনা, কাজে আসবে না। সেজন্য নৈতিক চরিত্রের প্রতি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অসৎ, প্রতারক, স্বার্থপর লোকদের সরকারি চাকরি করা ঠিক না। সেবা দেয়ার অজুহাতে মানুষকে হয়রানি করা বড় ধরনের অন্যায়।
সোমবার ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় ও জেলা পযায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে কাজের মধ্যে বিচিত্রতা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে জিআরএস পদ্ধতিতে প্রান্তিক জনগণকেও সেবা দেয়া যায়। বিলম্বে অফিসে আসা ১৬ কোটি মানুষের মূল্যবান সময়কে ফাঁকি দেয়ার সামিল। সাধারণ মানুষের সেবাকে নিজের ভেবে আন্তরিকতার সাথে তা করতে হবে। বিবেক দিয়ে শুদ্ধাচারের বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।
সভায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কামরুন নাহার বলেন, শুদ্ধাচার চর্চা নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হবে। যদি নিজেকে এ চর্চায় আনতে পারেন তাহলে আপনার চারপাশ পরিশুদ্ধ করতে পারবেন। নিজেকে শুদ্ধতার শিখরে নিয়ে যাওয়াটাই শুদ্ধাচারের মূলমন্ত্র। এটা দেশের জন্য সুশাসন বয়ে আনার পাশাপাশি নিজের জন্য আনবে শান্তি।
সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস বলেন, বিবেক যেটা ভালো বলে যদি সেটা করি তাহলে সেটাই এনআইএস। শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এ দেশ পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনায় আমরা যদি সরকারি দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকি তাহলেই আমাদের স্বার্থকতা।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক ও যুগ্মসচিব মো. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম হমেদ ভূঁইয়া ও জেলা পর্যায়ের সব সরকারি অফিসের প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আনোয়ার হোসেন।