খুলনায় অজ্ঞাত নারীর দ্বি খন্ডিত লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিহতের পরিচয় উৎঘাটন ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-০৬।
সকালে নগরীর কে ডি এ এভি নিউয়ে আসামী আবু বক্কর সিদ্দিককে সাথে নিয়ে নিহত নারীর শরীরের খন্ডাংশ (হাতের কজ্বি) উদ্ধার করেছে র্যব-০৬।
এ সময় র্যাব-০৬ এর অধিনায়ক মোশতাক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আসামী আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে নিহত নারীর অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক ছিল। গত ০৫ নভেম্বর রাতে আসামী আবু বক্কর সিদ্দিক ও নিহত নারী শারিরীক সম্পর্কে মিলিত হন আবু বক্কর সিদ্দিক এর ভাড়া বাসায়। এ সময় তাদের মাঝে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে আসামী আবু বক্কর ঐ নারীকে নিহত করে। নিহত নারীর পরিচয় কবিতা রানী। তিনি নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। আবু বক্কর সিদ্দিক কবিতাকে হত্যা করার পরার তার লাশ সড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে। এই সময় তিনি কবিতা রানীর লাশ তিন টুকরো করে। কিন্তু লাশ বাড়ি থেকে বের করতে না পারায় সে বিচ্ছিন্ন হাতের দুই কজ্বি পাশ্ববর্তী এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এর পর আবু বক্কর সিদ্দিককে তার তথাকথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব তাকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে। তবে এই হত্যাকান্ডোর সাথে আবু বক্কর সিদ্দিক এর তথাকথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগম এর কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব ৬ এর অধিনায়ক মোশতাক আহমেদ।
উল্লেখ্য গতকাল রবিবার সকালে আবু বক্কর সিদ্দক এর কেডিএ এভিনিউ এর ভাড়া বাসা থেকে কবিতা রানীর দ্বি খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম পলাতক ছিলেন। আবু বক্কর সিদ্দিক একটি ট্রান্সপোর্টে কাজ করেন। আর তার স্ত্রী নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন।
অপরদিকে এই ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় পুলিশ বাদি মামলা হয়েছে রবিবার রাতেই। এই মামলায় আবু বক্কর সিদ্দিক ও স্বপ্না বেগমসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করা হয়।