প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক আলোর অভিযাত্রার আখ্যান : প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা তরিকুল

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 419 দর্শন

 

আজ ১৭ মে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে
তাঁর প্রতি জানাই হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এ সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনই ক্রান্তিলগ্নে দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে। বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে না দেয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তৎকালীন সামরিক শাসকগোষ্ঠী । কিন্তু সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তখন দেশে ফেরা নিয়ে বিখ্যাত নিউজউইক সাময়িকী এক সাক্ষাৎকারে তাকে বলেছিল, প্রবল স্বৈরাচারী শাসকদের বিরোধিতার মুখে আপনার দেশে ফেরা কি ঝুঁকিপূর্ণ হবে না ? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ” সাহসিকতা এবং ঝুঁকি এই দুই-ই জীবনের কঠিনতম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার বিকল্পহীন শর্ত। প্রকৃতপক্ষে জীবনে ঝুঁকি নিতে না পারলে এবং মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয় “।

প্রসংগক্রমে নেতাজী সুভাষ বসুর একটি উদ্ধৃতি লিখছি , ” বিপ্লবের পথ একেবারে ঋজুপথ নয়। এ পথে নিরবচ্ছিন্ন সাফল্য আসে না, এ পথ বহু বিঘ্নসংকুল, সুদীর্ঘ এবং সর্পিল ” –বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেও এ কথা জানতেন, যে কারণে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য নয়াদিল্লি থেকে ঢাকা রওয়ানা হওয়ার কয়েকদিন আগে মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজউইক পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা এক হৃদয়গ্রাহী ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ১১ মে নিউজউইকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বক্স-আইটেম হিসেবে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭৫ সালে সামরিক চক্র কর্তৃক ক্ষমতা দখলকালে নিহত পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শেখ হাসিনা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি নিহত হওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত নন, এমনকি যে সরকারের মোকাবিলা করবেন তার শক্তিকে তিনি বাঁধা বলে গণ্য করবেন না।তিনি আরও বলেন, ” জীবনে ঝুঁকি নিতেই হয়। মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয় “।

আজ থেকে ৪২ বছর আগে ০৬ বছর নির্বাসিত থেকে বঙ্গবন্ধুবিহীন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আলোর মশাল হাতে কাণ্ডারি হয়ে স্বদেশের মাটিতে এসেছিলেন জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, সেদিনই বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছিল।১৯৮১ সালের ১৭ মে কুর্মিটোলা আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা লাখো মানুষের সংবর্ধনার জবাবে বলেছিলেন, ” আমি সবকিছু হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। বাংলার দুঃখী মানুষের সেবায় আমি আমার এ জীবন দান করতে চাই। আমার আর হারানোর কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই “।

দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জনগণের ভাগ্য বদলে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন বংগবন্ধু কন্যা । তাঁর এই দীর্ঘ চলার পথ ফুল বিছানো ছিল না, পদে পদে বিপদ ও মৃত্যুর ঝুঁকি তাকে তাড়া করেছে । আর এই দীর্ঘ সময় দলের প্রধানের দায়িত্বে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। তিনি যখন দেশে ফেরেন, দেশ তখন সামরিক শাসনের কব্জায়, দেশে বিরুদ্ধ পরিবেশ, পিতার রেখে যাওয়া সংগঠনে অন্তর্দ্বন্দ্ব আর সরকারি দমন-পীড়নে স্তব্ধ প্রায়, দেশে ফিরে নিজের বাড়িতেও ঢুকতে পারেন না।বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৭১ এর পরাজিত শক্তি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, দেশকে ফিরিয়ে নিতে চাইছে পাকিস্তানী ধারায়, পরপর ২ টি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে তাকে। নানা চড়াই-উতরাই, কারাবরণ, মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়াসহ অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পার করে জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে তিনি এগিয়ে চলেছেন এবং দেশকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন।

বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার বুলেট ও গ্রেনেডের মুখ থেকে বেঁচে ফেরা বহ্নিশিখা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যেমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উদার গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেরও প্রতিচ্ছবি। রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের কল্যাণই তাঁর রাজনীতির দর্শন। তাঁর রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। আর তাই বারবার স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি তার উপর বুলেট ও গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাকে শেষ করে দিতে চেয়েছে।বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যেখানেই যান, বুলেট যেন তাড়া করে ফেরে। তিনি যে আজও বেঁচে আছেন–এটা বাঙালি জাতির সৌভাগ্য। বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই বিরল রাজনীতিবিদদের একজন, যাকে বারবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। ফিদেল কাস্ত্রো ছাড়া আর কাউকে হত্যার জন্য এতোটা মরিয়া ছিল না প্রতিপক্ষ। নিজের বাসায়, জনসভায়, গাড়ি বহরে, ট্রেন যাত্রায়- বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে, সংখ্যাটা আজ ২১ । কিন্তু প্রতিবারই জনগণের বিপুল ভালোবাসা ও আর্শিবাদে তিনি নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন বাংলার মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের জন্যই।

আগের দিন যিনি রাষ্ট্রপতির কন্যা, পরদিনই ভয়ে তাকে কেউ আশ্রয় দিতে চান না”—-এই হচ্ছে আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক সময়ের নিয়তি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব হারিয়ে তিনি যেন একা এক নীলকণ্ঠ পাখি। এত কিছুর পরেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র আর তাঁকে হত্যা চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি প্রায় বলেন, ” আমি নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠের মত বিষ পান করেও তা হজম করতে পারি “–গণভবনে দলীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠকে দুঃখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ কথা বলেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, আমি ব্যক্তিগত লাভের জন্য রাজনীতি করি না, আমি দেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি “।তাই নি:সন্দেহে বলতে পারি, বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্মই যেন ত্যাগ স্বীকার করার জন্য, যেমনটা জাতির পিতা শেখ মুজিব পরাধীন জাতির মুক্তির আন্দোলনে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁকে দেখে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা মনে পড়ে যায়: –

অন্ধকারে সিন্ধু তীরে একলাটি ওই মেয়ে
আলোর নৌকা ভাসিয়ে দিলো আকাশ পানে চেয়ে।
মা যে তাহার স্বর্গে গেছে এই কথা সে জানে,
ঐ প্রদীপের খেয়া বেয়ে আসবে ঘরের পানে “।

নিঃস্ব হয়েও তিনি অন্ধকারের ভেতর দিয়েও জাতিকে আলোকিত করে যাচ্ছেন। এ যেন দুঃখের দরিয়া একা সাঁতরে কূলে পৌঁছেছেন। এখানেই তিনি একেবারেই আলাদা-অনন্য। তাঁর জীবন পৌরাণিক ফিনিক্স পাখির গল্পের মতো। কেউ তাঁর জীবনের পটভূমি সন্ধান করতে চাইলে তা বর্ণনার জন্য এটিই হতে পারে যথাযথ উপমা। পূর্বসূরির ছাই থেকে পৌরাণিক ফিনিক্স পাখির নতুন জীবন লাভের মতই তাঁর উত্থান। কোন পুরুস্কার কিংবা স্বীকৃতি যেন তাঁর কাছে তুচ্ছ। এদেশের মানুষের বিরল ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হয়েছেন। ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসে তিনি তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এই বাংলার আপামর মানুষের কল্যাণে। সমস্ত জীবন ধরে কন্টকাকীর্ণ এক দীর্ঘ পথ হেঁটে, সহস্র বাঁধা মাড়িয়ে তিনি আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পথের বাঁকে বাঁকে ছিল জীবনের ঝুঁকি। আর সেদিন তিনি ঝুঁকি নিতে পেরেছিলেন বলেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তকমা ঝেড়ে উন্নয়নশীল দেশের ক্যাটাগরিতে উত্তরণের তিনটি পূর্বশর্ত পূরণ করে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

সময় গড়িয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়েছেন। হাসিনা আ ডটার’স টেল যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার সেই সংলাপের কথা- মাকে যদি বলতে পারতাম, তোমার হাসু আর আলসে ঘরের মেয়ে নেই। যে মেয়েটা নাকি গল্পের বই পড়ে, গান শুনে দিন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিল, সেই মেয়েটিই এখন বাঙ্গালি জাতির পরিত্রাণ কর্তা, বাঙ্গালি জাতির বিকল্পহীন অবলম্বন, নেতৃত্ব গুণে অনন্যা ও অদ্বিতীয়া ।

প্রসংগক্রমে লিখছি, ৫/৬ বছর আগে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়েছিলাম। আব্দুল গাফফার চৌধুরী লিখেছেন, কাছের মানুষের বড়ত্বের পরিমাপ অনেক সময় কাছে থেকে করা যায় না, বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনারও করা যাবে না। কারণ এখন তিনি আমাদের বড় কাছে আছেন, আমাদের মাঝেই আছেন। কোনো দূর ভবিষ্যতে তিনি যখন থাকবেন না, তখন সেই শূন্যতা কতটা অপূরণীয় তা বোঝা যাবে, বোঝা যাবে দেশের মাটিতে তিনি কতটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হয়ে উঠেছিলেন। বংগবন্ধু কন্যা হাসিনার নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য এই যে, তিনি ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের মতো লৌহমানবী হয়ে ওঠেননি। কিন্তু তাঁদের চাইতেও কঠিন সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে শক্ত ধাতুর মনের পরিচয় দিয়েছেন। যে সাহসের প্রমাণ দিয়েছেন, তা অনেক লৌহমানবীর মধ্যেও দেখা যায়নি। আমি (আব্দুল গাফফার চৌধুরী) একবার বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলাম, শেখ হাসিনা আপনার মেয়ে না হয়ে ছেলে হলে ভালো হতো। বঙ্গবন্ধু জিজ্ঞেস করেছিলেন একথা কেন বলছো? জবাব দিয়েছিলাম, তাঁর চেহারায় আপনার সাহস, দৃঢ়তা ও তেজস্বিতা যতোটা দেখি, এতোটা আর কারো মধ্যে দেখি না। আপনার রাজনীতির যোগ্য উত্তরাধিকার তার হাতেই মানাতো ভালো। বঙ্গবন্ধু তাঁর ঠোঁটের পাইপে দীর্ঘ টান দিয়ে বলেছিলেন, দরকার পড়লে হাসু তা পারবে। তাকে মেয়ে হিসেবে দেখো না। তার মধ্যে অনেক ছেলের চাইতেও বুদ্ধি, সাহস ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি বেশি। নিজের কন্যা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর এই চিন্তাভাবনা যে কতটা সঠিক, বাংলাদেশের মানুষ এখন তা বুঝতে পারছে।

যে স্বপ্নে আমাদের পূর্বসূরিরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের এই বাংলাদেশ রচনা করে গেছেন, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে গেছেন, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকার জন্ম দিয়ে গেছেন, আজ সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে অগ্রসেনানী জননেত্রী শেখ হাসিনাক। যে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিল শূন্য হাতে, যে বাংলাদেশ ছিল একসময় অবহেলিত, দারিদ্র্যপীড়িত, যে বাংলাদেশ ছিল বিপন্ন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ,

যে বাংলাদেশে শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বাস করত, যে বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল, যে বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা-বিশ্ব উপহাস করত তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপহাস করতো, যে বাংলাদেশ এক সময় পরিচিতি সমস্যায় ভূগতো, যে বাংলাদেশ দূর্নীতিতে পরপর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়, যে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলন্ঠিত করে জংগিবাদ, মৌলবাদের রাজস্ব কায়েম করা হয়েছিল—-
সেই বিপন্ন ও দূর্যোগকবলিত বাংলাদেশ এখন মহাশূন্যে উপগ্রহ পাঠায়, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু বানায়। ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে যে দেশটি যাত্রা শুরু করেছিল, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের চোখে এক বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল । আর এটা কেবল সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার ক্লান্তিহীন পরিশ্রম, প্রবল দেশপ্রেম, সততা-নিষ্ঠা, সাহসিকতা, দূরদর্শী , দক্ষ ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দেশ পরিচালনার কারণেই বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান সম্ভব হয়েছে।

পিতা মুজিব যেখানে ৪৬ বছর বয়সে আইয়ুব খানের শাসনামলে আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, সেখানে শেখ হাসিনাকে ৩৪ বছর বয়সে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বর্বর সময়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। দেশ গঠনে এখন পর্যন্ত তিনি সকল বিশেষণের ঊর্ধ্বে ওঠে এসেছেন। তাইতো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন সর্বজন স্বীকৃত। পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসোপানে। The Telegraph of India এর কর্তা Ramchandra Guha এর সুরে বলতে চাই :
Once written off as a basket case, Bangladesh is now spoken of as a basket of innovation.

পদ্মা সেতু থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল,
মেট্রোরেল থেকে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠান, বিদ্যুতের ঘাটতি দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, প্রবৃদ্ধি থেকে মাথাপিছু আয়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর, বিশ্বের কাছে পরিচিত দূর্ভিক্ষের দেশ এখন উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময় —এসব কিছুই যার ক্যারেশম্যাটিক নেতৃত্বে অর্জন, তিনি দূরদর্শী, বিচক্ষণ এক বিশ্বনেতা, বংগবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই নেত্রী যিনি মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটও পাঠান, আবার একেবারে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত হতদরিদ্র, অসহায়, বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থাও করেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এক সাহসী রাজনীতিকের নাম, যার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ– উন্নয়নের ধারায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে । উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য তিনি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন। তিনি শুধু বর্তমান নিয়েই ভাবেন না, ভবিষ্যৎও তার ভাবনায় থাকে। এখানেই জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যদের থেকে আলাদা। মাত্র এক যুগে তিনি যেভাবে বাংলাদেশ কে যেভাবে বদলে দিয়েছেন, তাকে বলা হচ্ছে দ্যা বাংলাদেশ মডেল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাল তুলে দিয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বহমানের নৌকায়। বৈঠা ধরেছেন শক্ত হাতে। সেই তরী উথাল-পাথাল স্রোতের ভেতর দিয়ে পাড়ি দিয়েছে খাল-বিল-নদী-নালা থেকে সাগর মোহনায়। কবিগুরু সেই ১৯০৫ সালে গেয়েছিলেন:

” এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে, জয় মা বলে ভাসা তরী “—

তিনি সত্যিই জয় বাংলা বলে ভাসিয়েছিলেন তরী। বিশাল বাংলাদেশের বুক জুড়ে তার নৌকা ভেসেছে দুর্বার গতিতে। যে নৌকায় ১৯৭০ সালে উঠেছিল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি। আর ২০২৩ সালে উঠেছে ১৭ কোটি বাঙালি। নায়ের বাদাম তুলে মাঝি ছুটে চলছে বাংলার প্রতি ঘাটে, বন্দরে। সবখানে তার তরী ভিড়েছে মানুষের টানে, তাদেরই আবাহনে। গত এক দশকে তার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে দেশ উন্নয়নের পথ ধরে যতদূর এগিয়েছে তা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে UNESCO কর্তৃক স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, প্রবৃদ্ধি ২ ডিজিটে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্টে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর, রফতানি বাড়াতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন- তা সর্বত্র প্রশংসিত। বংগবন্ধু কন্যা
শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ আজ ধন্য। গত ১৪ বছর দেশের উন্নয়ন আকাশ ছুঁয়েছে। এ দেশ প্রকৃতপক্ষে এগিয়েছে তাঁর অসীম সাহসিকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা সূচিত হয়েছে, তাঁর শাসনামলেই গত বছর বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে, তাঁর হাত ধরেই এমডিজি অর্জন করেছে, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, এসডিজি অর্জনেও দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির এক আলোকবিন্দু। পুরো বাংলাদেশকে আলোকিত করে চলেছেন ইতিবাচক শাসনব্যবস্থা দিয়ে। একটি পরিবারহারা, শোকাহত, এতিম মেয়ে এসে একটি দেশের স্বাধীনতা আনা লুপ্তপ্রায় দলের হাল ধরলেন, ধীরে ধীরে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করলেন, রাজনীতির সূক্ষ্ম বিষয়াদীকে আত্মস্থ করলেন, পিতামাতা-ভাই-আত্মীয়-ঘনিষ্টজন হারানো শোককে শক্তি বানিয়ে মাটি ও মানুষের হৃদয়ের সাম্রাজ্যে স্থায়ী জায়গা তৈরি করে নিলেন এবং শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজ তিনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী, সেটা ১ বার নয়, পরপর ৩ বার, সব মিলিয়ে ৪ বার। কাজ করার সময় আশেপাশের লোকের কারণে কিছু সীমাবদ্ধতা আসতেই পারে এবং আসেও, কিন্তু দিন শেষে আপনি নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্দান্ত সফল একটি প্রতিবিম্ব দেখবেন। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গেয়েছেন এবং গাওয়ান, ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে যিনি বিজয়ের স্বপ্ন দেখেন এবং দেখান, যিনি রক্তাক্ত শরীর নিয়ে গোলাপ চাষের চিন্তা করেন এবং করান, যিনি ষড়যন্ত্র-নীল নকশাকে প্রতিরোধ করতে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হাত নাড়েন– তিনিই অনন্যা শেখ হাসিনা। যিনি বাংলাদেশকে স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীদের স্বার্থান্বেষী শকুনী দৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দিতে স্রষ্টার অনুগ্রহে নিজের আঁচলের ছায়ায় জীবন বাজি রেখে বাংলার মাটি, সম্পদ ও মানুষকে আশ্রয় দেন -তিনিই অদ্বিতীয়া শেখ হাসিনা। এক প্রবল মানবকল্যানকামী এবং লড়াই সংগ্রাম-প্রতিরোধের এক অনন্য নাম শেখ হাসিনা , যার কথায় ও কাজে বাংলাদেশের প্রাণ-প্রকৃতি-মানুষের ঘ্রাণ আসে, যিনি কখনোই অধৈর্য হন না, বিপদে কম্পিত হন না, যিনি সাফল্য, বিজয় ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের সাথে বোঝাপড়া না করে দমে যান না–তিনিই সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতা পরবর্তী মাত্র সাড়ে ৩ বছরের শাসনামলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তার উপর ভিত্তি করেই আজকের বাংলাদেশকে গড়ে তুলছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের সবচেয়ে দামী ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসাডর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, যিনি এখন আন্তর্জাতিক মহলে মানবতার জননী নামে পরিচিত। কখনও কখনও দেশ দিয়ে মানুষ পরিচিত, আবার উল্টো মানুষ বা নেতা দিয়ে দেশ পরিচিতি লাভ করে। যেমনটি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পূর্ব পর্যন্ত অনেক দেশই বাংলাদেশকে মুজিব কান্ট্রি নামে চিনত। শেখ মুজিব তখন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসাডর। বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ দেশের মানুষ অনেকটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই পরিচিত হচ্ছে। দেশে ও দেশের বাইরে বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কসুলভ কিছু অর্জনের কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসাডর। বাংলাদেশে এখনো শেখ হাসিনার বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। তিনি জাতির পিতার রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি।

বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, একজন মানুষ এতো বার মৃত্যুর দূয়ার থেকে ফিরে আসার পরও পুনরায় দেশ ও জাতির জন্য এতো কিছু করতে পারেন. এটা একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। বরং যত বেশি বাঁধা এসেছে, ততো বেশি কঠিন থেকে ইস্পাত দৃঢ মনোবল ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি । বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নীতি আদর্শে পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, সততা, ঈশ্বনীয় দেশপ্রেম, , প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা , সৃজনশীলতা, একাগ্রতা, দৃঢ়তা, অপরিসীম আত্মত্যাগ,
ও বিজ্ঞানমনষ্ক দৃষ্টিভংগি এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে তার উদ্ভাবনী ভাবনা ও চিন্তার ফসল আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
ডায়ানামিক, ক্যারেশম্যাটিক, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও যাদুকরী নেতৃত্বে এবং সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তিনি আজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন। এমন একজন জননন্দিত বিশ্ব নেতাই কেবলমাত্র পারেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারি :

Bangabandhu and Bangladesh are used as synonyms, HPM Sheikh Hasina has now become another name for the development of Bangladesh. Just as Bangabandhu gradually prepared the people of Bangladesh for independence through his visionary leadership, similarly, HPM Sheikh Hasina inspired by her father’s ideals, has made Bangladesh a role model for development through the implementation of various initiatives. This achievement was possible due to her leadership skills. HPM Sheikh Hasina, the daughter of Independent Bangladesh’s architect Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, has taught us that we can do it, Bangladesh can be. Our beloved Prime Minister has taken us to a place where we can hold our head high as a nation and be proud of her accomplishment & achievements. The Bengali nation today is deeply grateful and indebted to the Hon’ble Prime Minister for her mountainous patriotism, concentration, determination, scientific outlook and deep love for the people and her visionary & magical leadership to build such a developed, prosperous and modern Bangladesh. Bangabandhu ‘ s dream Sonar Bangla is no longer elusive, it is visible. I think HPM Sheikh Hasina is a blessing for Bengalis. HPM Sheikh Hasina is the symbol of development of Bangladesh, the symbol of prosperity, the symbol of democracy, the symbol of honesty “.

আপনি দীর্ঘজীবী হোন হে মহান নেত্রী — স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এই হোক আমাদের সবার কামনা।

লেখক : আ,ন,ম তরিকুল ইসলাম
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।ও সাবেক নেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন