সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো: সজীব খান ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আইজিপির “শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১-২২” লাভ করার গৌরব অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পিপিএম-বার, বিপিএম আজ বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের কনফারেন্স কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সজীব খানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খান তার এ অর্জনে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম-বার, পিপিএম ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম এঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিপিএম-বার পিপিএম উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। এছাড়া অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অর্থ) কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক,এসবি প্রধান মো: মনিরুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার এবং বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খান সাতক্ষীরা জেলাতে প্রায় দুই বছর সুনাম ও দক্ষতার সহিত জেলার আলফা টু র দায়িত্ব পালন করছেন।পুলিশের ২৮ তম বিসিএস সজীব খানের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার মঙ্গলকোর্ট গ্রামে।তাঁর বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা ছিলেন।সেই সুত্রে তিনি সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে এসএসসি পাস করেছেন।সাতক্ষীরায় চাকুরী করতে এসে সজীব খানের পিতা গত বছর মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়িতে আসার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে সাতক্ষীরাতে এসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।আইজিপির নিকট থেকে শুদ্ধাচার পুরুস্কার পেয়েছেন সজীব খান। এজন্য সাতক্ষীরা জেলাবাসী ও সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের পক্ষ থেকে সজীব খান কে আকাশ ছোয়া অভিনন্দন।
সজীব খান এক জন সদা হাস্যজ্জল ও সাদা মনের মানুষ।খুব সাধারন জীবন যাপন করেন তিনি।লোভ-লালসার মোহো ত্যাগ করে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম এঁর নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব খান।
উল্লেখ্য, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ২১৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে দুই জন ডিআইজি, একজন লে. কর্ণেল, একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৫ জন পুলিশ সুপার, ১৩ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১০ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ২১ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৩৭ জন সাব ইন্সপেক্টর, চার জন সার্জেন্ট, ১৯ জন সহকারী সাব ইন্সপেক্টর, পাঁচ জন নায়েক, ৭৮ জন কনস্টবল, একজন সিপাহী এবং ১০ জন সিভিল স্টাফ রয়েছেন।