দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার দুটি আসনে ২৩জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর আসনে মুক্তিজোট প্রার্থী আব্দুল আজিজের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপি হওয়ার অভিযোগ আছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী সাতক্ষীরা-১ ও সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঋণ খেলাপি হওয়ায় সাতক্ষীরা-২ আসনে মুক্তিজোট মনোনীত প্রার্থী আব্দুল আজিজের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এই তথ্য নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন অফিসার আতিকুল ইসলাম জানান, সোনালী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে ঋণখেলাপি হওয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বাকি দুই আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার আতিকুল ইসলাম জানান, যাচাই বাছাই শেষে সাতক্ষীরা-১ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত ফিরোজ আহমেদ স্বপন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, স্বতন্ত্র তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম মুজিবুর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখৎ, তৃণমূল বিএনপির সুমি ইসলাম, মুক্তিজোটের শেখ মো: আলমগীর, স্বতন্ত্র মো: নুরুল ইসলাম, জাকের পাটির খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ইয়াররুল ইসলাম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, স্বতন্ত্র আফসার আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মো. আনোয়ার হোসেন, জাকের পার্টির শেখ ইফতেখার আল মামুন সুমন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমের মো. কামরুজ্জামান বুলু, স্বতন্ত্র এনছান বাহার বুলবুল, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির ফারহান মেহেদী এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. তৌহিদুর রহমান।
সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বাছাই বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো: সজীব খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গণ, জেলা নির্বাচন অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
এদিকে মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, ‘আমি ঋণ খেলাপী নই। আমার কাছে সোনালি ব্যাংকের পাওনা ১৮হাজার টাকা এবং জনতা ব্যাংকের পাওনা ২ লাখ টাকা। আমি নিয়মিত তাদের টাকা শোধ করে যাচ্ছি।’ রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান আব্দুল আজিজ।