নৌপরিহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, চিলমারী নদী বন্দরের বাস্তব রুপ দেয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটিতে (একনেক) তিনশত কোটি টাকার চিলমারী নদী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন হয়ে গেলে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীর নদী বন্দরের রমনাঘাট ও জোড়গাছ এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিলমারীতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য আলাদা দু’টি পোর্ট হবে। এখানে কাষ্টসমের সুবিধাগুলো তৈরি করার জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন । তিনি বলেন, ভারতের সাথে আমাদের নৌ প্রোটকল আছে, ভুটানের সাথেও নৌ প্রোটকল করতে যাচ্ছি। এ রুটটি হবে একটি আর্ন্তজাতিক নৌরুট। এ রুটটি চালু হয়ে গেলে এ এলাকার অর্থনীতিতে বিরাট গতি সঞ্চারিত হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চিলমারী বন্দর ভারত, ভুটান, নেপালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নদীপথ। ইতোমধ্যে তারা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ড্রেজিংসহ নানা কাজে আর্থিকভাবে সহযোগিতাও করছে ভারত। এ্ বন্দরের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের মানুষের সাথে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। এতে চিলমারীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন গুজব নির্ভর রাজনীতি করে। তারা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়। এখন তারা বিপদগ্রস্থ রাজনীতির পথ ধরেছে, তারা কখনো পেঁয়াজ নিয়ে, কখনো লবণ নিয়ে, কখনো পরিবহন নিয়ে রাজনীতি করে, এমন একটি গতিহারা দলকে নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকারী বীর বিক্রম, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, ডব্লিউ, এম রায়হান শাহ্, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ সরকার প্রমুখ।