আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি গাজীপুরের তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর ৪ দিন বিরতী দিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দুই পর্বের ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এর আয়োজনে ইজতেমা ময়দানে সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, অ্যাডিশনাল ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, অ্যাডিশনাল কমিশনার, জিএমপি, জেলা প্রশাসক, উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ  , ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াসা, জেলা সিভিল সার্জন, হাইওয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তাগণ। এছাড়া ইজতেমার দুই পর্বের আয়োজক মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সা’দ গ্রুপের শীর্ষ মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ইজতেমা উপলক্ষে সমন্বয় সভা আয়োজন করায় পুলিশ কমিশনার, জিএমপিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইজতেমা চলাকালীন মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যেন না চলাচল করতে পারে এবং দুরপাল্লার যানবাহন যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলেন।
বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ সাফল্যমন্ডিত করতে আয়োজক কমিটি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি কর্পোরেশন এর সদস্যগণসহ এর সাথে জড়িত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে আগত দিনগুলোতে সবাইকে সমন্বয় করে একসাথে কাজ করার আহবান জানান। সম্প্রীতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

জিএমপি কমিশনার বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসি টিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এছাড়াও স্পেশালাইডজ টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নি নির্বাপনের জন্য প্রতি খিত্তায় এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র রাখা হবে। ইজতেমা আয়োজনে কোন বিশৃঙ্খলা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন