এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর কোন ঈদগাহে বা উন্মুক্ত স্থানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। জেলার সকল মসজিদে নিম্নোক্ত নিয়মাবলী/নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক ঈদের জামাতের আয়োজন করতে হবে।

(১) শহর ও গ্রামের সকল মসজিদে সকাল ৭.০০ টা থেকে ১০.০০টা বা সুবিধাজনক সময়ে একাধিক জামাত আয়োজন করতে হবে।

(২) প্রতিটি মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই মুসল্লিগণের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান-পানি দ্বারা হাত ধৌত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

(৩) সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ বাসা থেকে ওযু সেরে নিজস্ব জায়নামাজ নিয়ে মুখে মাস্ক পরিধানপূর্বক মসজিদে আগমন করবেন।

(৪) মসজিদে কার্পেট রাখা যাবে না এবং নামাজের পূর্বে প্রতিটি মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।

(৫) নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব ( প্রত্যেককে কমপক্ষে ৩ ফুট দুরত্ব) ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

(৬) জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

(৭) শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ্য ব্যক্তিদেরকে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

(৮) করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিটি জামাত শেষে আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।

(৯) সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিৎকল্পে জেলা/উপজেলা প্রশাসন , স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা

অবশ্যই অনুসরণ ও প্রতিপালন করতে হবে।

(১০) স্ব-স্ব মসজিদ কমিটি উপরোক্ত নির্দেশনাসমুহ প্রতিপালন নিশ্চিত করবেন।

(১১) ঈদের প্রাক্কালে সকল প্রকার উচ্চশব্দ বিশিষ্টি পটকাবাজী নিষিদ্ধ করা হলো।

(১২) ঈদের ছুটি চলাকালীন বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো এবং শালীনতা বিরোধী সকল কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হলো।

(১৩) ঈদের দিন বা ঈদ পরবর্তী সময়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে ভ্রমণ বিরত রেখে নিজগৃহে অবস্থান করতে হবে।

(১৪) ঈদের দিন বা ঈদ পরবর্তী সময়ে দর্শণীয় স্থানে/যে কোন ধরণের জনসমাগম থেকে বিরত থাকতে হবে।

“ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন”

জনস্বার্থে এ আদেশ জারী করা হলো । আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আদেশক্রমে…. এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন