শুরু থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে তাদের চাহিদামত সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। বিদেশফেরত রোগীগের ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে রোগী সনাক্তকরণ, নির্দেশিত ব্যক্তি হোম কোয়ারেনটাইন মানছেন কিনা তা নিশ্চিতকরণ, দ্রব্যমূল্যের মজুতদারী বন্ধ করা, গুজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি নানা বিষয়ে পুলিশ নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। পাশাপাশি, পুলিশকে মামলা, তদন্ত, প্রোটোকল ও স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নিয়মিত কার্যক্রমও পরিচালনা করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশ শুরু থেকেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে নিরাপদ থাকতে করনীয় বিশেষ সচেতন করছেন মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাও। সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে তা মানতে আহবান জানাচ্ছে পুলিশ। এজন্য, আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে ব্যবহৃত পুলিশের গাড়ি গুলোতে লাগানো হচ্ছে সচেতনতামূলক পোস্টার। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়েছে এবং হচ্ছে লিফলেট ও হ্যান্ডবিলসহ অন্যান্য প্রচারপত্র।
পুলিশের গাড়িতে মাইক লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন পুলিশ সদস্যরা। মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে এবং সামাজিক ও ধর্মীয় গুনীজনের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষকে আহবান জানানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশনা মানতে। পুলিশের প্রতিটি ইউনিট তার নিজস্ব পেইজ ও পোর্টালেও প্রচার করছেন প্রয়োজনীয় নানা বার্তা।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিশ্চিত করা হচ্ছে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিগণ হোম কোয়ারেনটাইন মানছেন কিনা। না মানলে, ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে বাজার ভিজিট করা হচ্ছে। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু, সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে বিভ্রান্ত হয়ে কেনাকাটা করতে থাকায় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা না পেলে এটি নিয়ন্ত্রন পুলিশের একার পক্ষে সহজ নয়।
গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর রোধ করতে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি বিশাল প্লাটফর্ম বিধায় এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন খুব সহজ নয়। তবুও, গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি থেকে ধর্মীয় পরিচয়ধারী একজনকে তার সহযোগী অন্যান্য লোকজনসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চট্টগাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চিকিৎসক পরিচয়ধারী একজনকে।
সারাদেশে পুলিশের সকল ইউনিটে ইতোমধ্যেই কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশে করোনা প্রতিরোধী ইকুইপমেন্ট ও সামগ্রীর সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পুলিশ সদস্যদেরকে আমরা মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডগøাভস সরবরাহ করছি। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। পুলিশের সকল ইউনিটে পুলিশ লাইনস ও অফিসগুলোতে সিঙ্গেল এন্ট্রি সিস্টেম (অ্যাকসেস কন্ট্রোল) চালু করা হয়েছে।
প্রবেশমুখে প্রত্যেকের হাত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। জ্বর পরীক্ষা করা হচ্ছে। গাড়িগুলোতে জীবানুনাশক লিকুইড ছিটানো হচ্ছে। দেশ ও সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে পুলিশের সকল সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দেশ ও মানুষের কল্যাণে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ পুলিশ।