করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতক্ষীরা সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারী শুরু করেছে বিজিবি।

কেউ যাতে সাতক্ষীরার কোন সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাতায়াত না করতে পারেন সে জন্য সীমান্তে এই কঠোর নজরদারী রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত জুড়ে রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারী।এছাড়া হঠাৎ করেই সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই নজরদারী আরো বাড়ানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির কারণে ভারতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে জনগণের অবৈধ গমনাগমনের মাধ্যমে উক্ত ভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সে প্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার ভোমরা, গাজীপুর, কুশখালী, কালিয়ানী, মাদরা, কাকডাঙ্গা ও তলুইগাছা এলাকাগুলো স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে।

উক্ত এলাকা সমূহে অবৈধ গমানাগমন প্রতিরোধে ইতিমধ্যে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত টহল হিসেবে মোটর সাইকেলযোগে কঠোর নজরদারীতে রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সীমান্তে ৫৯০টি মোবাইল টহল পরিচালনা করে অবৈধ গমনাগমনের সময় ইতিমধ্যে ৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এছাড়া অবৈধ যাতায়াত বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ইতিমধ্যে সীমান্তের প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে কেউ যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার না করেন সেটিও মাইকিং করে জানানো হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন