সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ৫৭টির বেশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন কার্যকর হয়েছে। খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ৩০ হাজার একশত ৮৫ জন প্রতিবন্ধীকে সুবর্ণ নাগরিক পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য সহায়তা নিশ্চিত করেছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি আওতায় জেলায় এক হাজার তিনশ ৩৯জন প্রতিবন্ধী বছরে মোট ৩০লাখ টাকার বেশি সহায়তা পাচ্ছেন। চলতি অর্থবছরে জেলার ২৮ হাজার একশত ৬২ জন অসচ্ছল প্রতিবন্ধী মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ভাতার আওতায় আছেন। এছাড়াও সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও কর্মসংস্থান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে দুই হাজার নয়শত ৫১ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
২৮তম আন্তর্জাতিক ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আজ (বৃস্পতিবার) সকালে খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসকল তথ্য জানানো হয়। আলোচনা সভা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তার প্রতিবন্ধকতার জন্য নিজে দায়ী নন। প্রতিবন্ধীদের পরিবারের বোঝা মনে করে ঘরের কোনে লুকিয়ে রাখলে তাঁরা কখনো স্বাবলম্বী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের সহায়তায় ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। চলতি বছরেই প্রায় সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতার আওতায় আসবেন। সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ^ দরবার হতে দেশের জন্য সোনার মেডেল নিয়ে আসেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান ও খুলনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শেখ আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন।
এর আগে নগরীর হাদিস পার্ক হতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে শেষ হয়।