গণমাধ্যম আইন পাস হলে গণমাধ্যমের সব সমস্যার সমাধান হবে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আইন পাসের পর হঠাৎ করেই কর্মী ছাঁটাই চলবে না। ছাঁটাই করলেও তাদের সব ধরনের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য সচিব আবদুল মালেক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, তবে এ আইন পাস হতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের আবার বসতে হবে। তারপর এ আইন মন্ত্রিসভায় পাস হওয়ার পর জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক রাজা ও সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,গণমাধ্যম কর্মী আইন হলে সেটির আলোকে টেলিভিশনে যারা সাংবাদিকতা করছেন, তাদের জন্য নতুন নীতিমালা করার সুযোগ তৈরি হবে। গণমাধ্যম কর্মী আইন আমরা দ্রুতই পার্লামেন্টে নিয়ে পাস করতে পারব। তবে একটি আইন তৈরি করা সহসার কাজ নয়। তারপরও গণমাধ্যম সংক্রান্ত আইন আরও একটু স্পর্শকাতর, ফলে এটাতে একটু সময় লাগছে। মন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার আইন পাস হলে একটি সম্প্রচার কমিশনও হবে। তখন টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিকদের চাকরিসহ অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সম্প্রচারে শৃঙ্খলা রাখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অনেকটাই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আগে অনুমোদনের ভিত্তিতে সিরিয়ালি বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো প্রচার করা হতো না, এখন সেটা হচ্ছে। আমরা এক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। এ সেক্টরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বন্ধ করা হয়নি। ভবিষ্যতেও তা পরিচালনা করা হতে পারে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে চ্যানেল বেশি হওয়ায় আয় কমে গেছে। এর জন্যই হয়তো কিছু কিছু টিভি চ্যানেলের নিয়মিত বেতনভাতা দিতে সমস্যা হচ্ছে। এর সুরাহা করা হবে। এখন আর দেশের বিজ্ঞাপন বাইরের টিভি চ্যানেলে যায় না। এতে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৩৩টি চ্যানেল অনএয়ারে আছে। আরও চ্যানেল আসছে। এখানে কয়েক হাজার গণমাধ্যমকর্মী কাজ করছে। বর্তমানে চালু চ্যানেলগুলো প্রদর্শনে আগে সিরিয়াল মানা হতো না। সিরিয়াল পেতে ক্যাবল অপারেটরদের কাছে ধরনা দিতে হতো। এখন সে অবস্থা নেই। সিরিয়াল মানার বিষয়ে এখনও যেখানে ত্রুটি আছে, তা সমাধানে মোবাইলকোর্ট পরিচালিত হবে। তবে কোনও ঘোষণা দিয়ে নয়, ঘোষণা ছাড়াই এ কোর্ট পরিচালনা করা হবে।