জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার আয়োজনে সোমবার সন্ধায় শহরের খুলনা রোড মোড়ে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ পৌর শাখার সভাপতি ও এম আর পরিবহনের চেয়ারম্যান নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশি, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এম আর পরিবহনের আঞ্চলিক পরিচালক শফিউল্লাহ, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল আলিম সরদার, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি হারুণ উর রশিদ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক তৈবুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক মেহেদী হাসান, আব্দুররশিদ, আবু তালেব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাও. মুফতি সাইফুল্লাহ। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম রবি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। তার ডাকে পাকিস্তানের শোষক গোষ্ঠীর হাত থেকে মুক্তি পেতে জাতি র্ধম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের কৃষক-শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বে মাত্র ৯ মাসে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
এ জন্য বঙ্গবন্ধুকে জীবনের অধিকাংশ সময় কারাভোগ করতে হয়েছে। দেশ স্বাধীন হলেও এ দেশের মানুষের আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলে সর্ব স্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখতে ছুটে যান বিমানবন্দরে। সেদিন মানুষের অপার ভালোবাসায় সিক্ত হন শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিয়ে তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে হবে প্রজন্মের সৈনিকদের। অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ন্যায় ভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়ন করতে হবে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাাঁড়িয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।