নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা বিভাগ গড়ার পরপর ই তিনি পদন্নতি পেয়ে নৌ মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসাবে ইং ১৪/০৯/২০১৭ তারিখে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ে যোগ দান করেন।যোগদান করার পরের দিন ১৫/০৯/১৭ তারিখে তিনি ঢাকা থেকে সোজা গোপালগজ্ঞে যান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে।ঐ দিন তিনি বাগেরহাটের হযরত খানজাহান আলীর মাজার জিয়ারত করেন।অতপর,তিনি পুরানো কর্মস্থল খুলনা তে আসেন সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায়ী শুভেচ্ছা নিতে।ইং ১৬/০৯/১৭ তারিখ খুলনার জেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশ,কোস্ট কার্ড,কর্ণেল,র্যাব কমান্ডার সহ খুলনা বিভাগের সকল স্থরের প্রশাসনের ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি।
তারপরে ১৯/০৯/১৭ তারিখে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে ফিরে যান তার নিজ কর্মস্থলে।ঐ দিন নৌ বাহিনী প্রধান সহ মন্ত্রনালয়ের সকল স্থরের কর্মকর্তা তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে বরন করে নেন।শুভেচ্ছা গ্রহনের পরের দিন থেকেই শুরু করেন তাঁর দৈনন্দিন কার্যক্রম। ২০/০৯/১৭ তারিখে নৌ-যান,ফেরী সার্ভিস করে গতিশীল করতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি পর্যালোচনা সভা করেন।অতপর,২২/০৯/১৭ তারিখে তিনি চট্রগ্রাম বন্দরে যান।বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে ও অর্থনীতি কে শক্তিশালী করতে তিনি সরজমিনে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।একই দিন তিনি চট্রগ্রামে World Maritime Day 2017 উৎযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ গ্রহন করেন।পরে সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে ২৪/০৯/১৭ তারিখে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের মাসিক সভার আয়োজন করেন।সাথে সাথে তিনি মন্ত্রনালয়ের ১৪ টি সংস্থার খোজ-খবর নেন।
অতপরঃ ২৬/০৯/১৭ তারিখে মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী জনাব শাহাজান খান তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও সচিব হিসাবে আন্তরিক ভাবে কুশল বিনিময় করেন।একই দিন BIWTA এর আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।অতপর,২৮/০৯/১৭ তারিখে জাইকার সাথে সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা সভা করা হয়।
অতপর,০১/১০/১৭ তারিখ তিনি তার নিজ জেলা শেরপুরে যান এবং অগ্রাধিকার কর্মকান্ড পর্যালোচনা করেন।একই দিন তিনি শেরপুরের নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও স্থল বন্দর পরিদর্শন করেন।
০২/১০/১৭ তারিখে ঢাকা কলেজের প্রবীন কিংবদন্তী স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়েদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। অতপর,থেমে নেই দৈনন্দিন কাজ ০৩/১০/১৭ তারিখ চীন থেকে ৬ টি জাহাজ কেনার জন্য একটি আলোচনা সভায় মিলিত হন তিনি।আন্তজার্তিক রুটে পরিচালনা করে দেশের গৌরব অর্জনের জন্য ৬ টি জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উক্ত সভায়।
অতপর, ০৫/১০/১৭ তারিখ তিনি পায়রা বন্দরে যান বন্দরের নির্মান,নদী ও সমুদ্রের ড্রেজিং সহ নদী পথের Connectivity কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।পরের দিন ০৬/১০/১৭ তারিখ তিনি বুড়ি গংঙ্গা নদী বন্দর ও টার্মিনাল পরিদর্শন করেন।০৭/১০/১৭ তারিখ রোলার স্কেটিং ওয়াল্ড কাপ ২০১৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে, এ সংক্রান্ত একটি সভা করেন তিনি।
নন-ষ্টোপ কাজ করতে করতে হঠাৎ একটু তিনি পরিবার কে সময় দিলেন ০৭/১০/১৭ তারিখে।পরিবার নিয়ে তিনি বেড়াতে যান নরসিংদি’র ড্রিমল্যান্ড পার্কে।
বেড়ানো শেষে আবার তিনি তাঁর অভিষ্ট লক্ষে পৌছানোর জন্য ০৯/১০/১৭ তারিখে Maritime অভিযোগ সমাধানে IMO কনফারেন্স করেন।অতপর,১৪/১০/১৭ তারিখে তিনি গ্রীন লাইন জাহাজে করে বরিশালে যান পায়রা বন্দরের নির্মান কাজ ও ড্রেজিং রাস্তা নির্মান পরিদর্শন করতে।সেখানে একটি সমুদ্র বন্দর তৈরি করা হবে বলে তিনি ঘোষনা দেন।১৫/১০/১৭ তারিখ তিনি চাইনার সাথে চুক্তি সম্পর্কিত মিটিং এ অংশ গ্রহন করেন।অতপর,২৪/১০/১৭ তারিখ তিনি সরকারী সফরে জাপানের টোকিও তে যান।জাপানের টোকিও তে তিনি বিভিন্ন সমুদ্র বন্দর পরিদর্শন করে আসেন।২৯/১০/১৭ তারিখে তিনি জাপানের টোকিও থেকে দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরেও তাঁর বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই।ইং ০২/১১/১৭ তারিখ তিনি বেক্সিম্কো গ্রুপ ও বিজিএমইএ দের সাথে গুরুত্বপুর্ণ সভা করেন এবং সেন্টমার্টিনে পর্যটন জাহাজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহন করেন।অতপর,০৪/১১/১৭ তারিখ তিনি আয়কর মেলা–২০১৭ তে যোগ দেন।সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক,এনবিআর চেয়ারম্যান সহ সর্বমোট ৫ জন সচিব।
অতপর,০৬/১১/১৭ তারিখ নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী দের বিদায়ী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।পরের দিন ০৭/১১/১৭ তারিখ পায়রা বন্দরে ড্রেজিং সহ টার্মিনাল নির্মান ও জেটি নির্মান পরিদর্শনে যান।আবার কয়েক দিন পরে ১১/১১/১৭ তারিখে তিনি স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নাজমুল আহসানের স্মরন সভাতে যোগদান করেন।পরের দিন ১২/১১/১৭ তারিখ তিনি BIWTA এবং মোংলা পোর্ট এর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম মুল্যায়ন করেন।১৫/১১/১৭ তারিখে তিনি ইমো সম্মেলন করেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন জাহাজ ও সী ক্রুজ পরিচালনার জন্য Strakeholder সেবা দেওয়ার জন্য।
সর্বশেষ তিনি ১৮/১১/১৭ তারিখে নৌ মন্ত্রী শাহাজান খান মহোদয়ের সাথে ভাসানচর পরিদর্শন করেন ও সন্দীপে জেটি কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।পরের দিন ১৯/১১/১৭ তারিখ তিনি রোপ স্পিকিং খেলাকে আরো জনপ্রিয় করার লক্ষে প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্বোধন করেন।তার ২ দিন পরে ২১/১১/১৭ তারিখ তিনি ডেন মার্কের সাথে Maritime Issue চুক্তি করেন।শুধু তাই নয় একই দিন তিনি HSBC Bank এর সাথে মেরিটাইম সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা সভা করেন।
সর্বশেষ আজ ২৩/১১/২০১৭ তারিখ তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিস বারনিকাটের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করেন,উক্ত সভায় মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।একই দিন ২৩/১১/১৭ তারিখ সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসে তিনি জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষন কে UNESCO কতৃর্ক বিশ্ব প্রামান্য ঐতিয্য হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করায় আগামী ১৫ ই নভেম্বর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার প্রস্তুতি মুলক সভা করেন করেন।
তাই পরিশেষে বলতে চাই,আধুনিক খুলনা বিভাগের তথা ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা বিভাগের রুপকার, স্বাবেক কিংবদন্তী বিভাগীয় কমিশনার ও বর্তমানে মাননীয় সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও আমার পরম শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি শ্রদ্ধেয় সামাদ স্যার বিশ্রাম নেন কখন???আর ঘুমান বা কতক্ষন??
আমি Samad Faruk ফেইজবুক আইডি থেকে উপরোক্ত তারিখ গুলো এবং কোন দিনে কি কাজ করেছেন তিনি ইত্যাদি বিষয়ের তথ্যাদি গুলো নিয়েছি।আরো অনেক কার্যক্রম আর লিখতে পারিনি। তার কারন,আমার হাত ব্যাথা হয়ে গিয়েছে তাঁর Acheivement গুলো লিখতে লিখতে।সত্যিই তিনি একজন কর্মবীর।অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি বই লিখতেন।পরপর ৪ টি গ্রস্থ্য প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিজের হাতে লেখা গ্রন্থ্য গুলো।তিনি একজন সাহিত্য ও সংস্কৃতি মনা ব্যক্তিত্বের অধিকারী।খুলনা বিভাগে তিনি ২২ টি ইকোপার্ক করেছেন।
১৬০ বিঘা জমির উপরে খুলনা তে তিনি শেখ রাসেল ইকোপার্ক নির্মানের জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে এসেছিলেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।আমার দৃড় বিশ্বাষ তিনি এখানেও সফল হবেন ইনশাআল্লাহ!!দেশের স্বার্থে –দেশের মানুষের কল্যানের স্বার্থে তাঁর মত মহৎ মনের অফিসার অনেক দিন বেঁচে থাকার দরকার।