সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নানা আয়োজনে প্রবাসীদের নিয়ে আনন্দ উৎসবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ জুন) দূতাবাসে ‘পদ্মা সেতু- উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। রিয়াদের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীরা এতে যোগ দেন। এ উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী দূতাবাস ভবনকে লাল সবুজ আলোয় সজ্জিত করা হয়।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি ইস্পাত, কংক্রিটের সেতু নয় বরং পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মবিশ্বাস, মর্যাদা, দক্ষতা এবং সক্ষমতার প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, এ সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দেশের পাশাপাশি বিদেশের সকল মিশনেও বিশেষ এ দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ যেমন সমার্থক, তেমনি উন্নত বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুটি নামও সমার্থক।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল, সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু এই পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখেননি, তিনি পুরো জাতির মাঝে সেই স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছেন। আজ সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে।
এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সৌদি প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রত্যয়, অসম সাহস ও প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসের কারণেই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে সারা বাংলাদেশের যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হয়েছে, যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান বদলে দেবে।
এ সময় সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম এ ওয়াদুদ, রফতানি আয় বৃদ্ধি বিষয়ে ব্যবসায়ী এম এ জলিল, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী এম আর মাহবুব, পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক পর্যালোচনা বিষয়ে দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ে মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু নিয়ে তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রবাসীরা আনন্দ-উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।