করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পুলিশকে নিয়ে ‘গুজব ও মিথ্যা সংবাদ’ না ছড়িয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
সোমবার (৩০ মার্চ) পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা এ সংক্রান্ত একটি প্রেস নোট পাঠান।
এতে বলা হয়, করোনার বিস্তার রোধে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবলমাত্র দেশ ও জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। করোনার বিস্তাররোধে সারাদেশে লক্ষ কোটি মানুষের সাথে পুলিশের ইন্টারঅ্যাকশন বা সাক্ষাৎ হচ্ছে প্রতিদিন। এর মধ্যে গুটিকয় ঘটনার সময় পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনাকাঙিক্ষত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়গুলো নিউজ মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোনো উপায়ে পুলিশ সদস দফতরের দৃষ্টিতে আসা মাত্রই মাঠ পর্যায়ে ইউনিট কমান্ডারদের তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রেস নোটে আরও বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও বার্তায় এবং মোবাইল ফোনে অপারেশনাল সকল কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন। অপারেশনাল ইউনিট কমান্ডাররাও মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের একইভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। এর ফলে, একই ধরনের ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দৃষ্টিতে পড়েনি কিংবা জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য কোনো প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় এমন কোনো সংবাদ আমাদের চোখে পড়েনি।
প্রেস নোটে বলা হয়, তারপরও কিছু নিউজ মিডিয়ায় নতুন করে পুরাতন অভিযোগগুলো নিয়ে এমনভাবে নিউজ ছাপা হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে এখনও বলপ্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, একটি দুষ্টুচক্র অতীতের বিভিন্ন সময়ের পুরাতন ছবি ও ভিডিও যে গুলোর বিষয়ে তদন্ত করে সেই সময়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা এডিট করে বা কৌশলে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে পোস্ট দিচ্ছে। এমনকি ২০১১ সালে পুলিশ কর্তৃক বিএনপি-জামাতের অগ্নি-সন্ত্রাস দমনের ছবিও ফটোশপ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সেগুলো সহজেই বিশ্বাস করে তাদের উষ্মা প্রকাশ করছেন এবং তা শেয়ার করছেন।
আরও বলা হয়, এ ধরণের মিথ্যাচারের ফলে পুলিশের প্রায় শতভাগ সদস্য যারা দেশ ও জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারসহ নানা উপায়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন, তারা মানসিকভাবে ডিমোটিভেটেড হচ্ছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গুজব ছড়ানো ও মিথ্যাচার বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায়, গুজব ছড়িয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ালে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের সাইবার টিমগুলো গুজব ও মিথ্যা রটনাকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে।