বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিশ্চিত করতে খুলনায় জেল-জরিমানা করা শুরু করেছে প্রশাসন।
খুলনা জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সোমবার (০৯ নভেম্বর) প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে আটক করে।
জরিমানা করে ৮ জনকে। যে কারণে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে শহরে মানুষের মুখে মাস্ক বেশি পরা দেখা যাচ্ছে। বেড়েছে মাস্কের বিক্রিও।
দোকানীরা জানিয়েছেন, আগে প্রতিদিন দুই থেকে তিন বাক্স মাস্ক বিক্রি হতো।
প্রশাসন মাস্ক পরার ওপর কঠোরতা আরপ করায় এখন বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে মহানগরীর শান্তিধাম মোড়ের মেডিকম ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন।
মাস্ক না পরে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের আটক ও জরিমানা করছে। যে কারণে মানুষ মাস্ক পরতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে মাস্ক বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গেছে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুযায়ী মাস্ক না পরে ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তিদের জেল- জরিমানা করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে । এ অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম থেকেই সরকারিভাবে সর্বস্তরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও খুলনায় এতোদিন তা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। তবে জেল জরিমানার ভয়ে বর্তমানে সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনলাইন জুম প্রযুক্তিতে রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির নভেম্বর মাসের সভা বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।