আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদের দণ্ডাদেশ কার্যকরের প্রত্যাশা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ডাদেশ কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলাম। তাদেরই একজন ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। কিছুক্ষণ আগে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত থেকে হাজতবাসের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে।

১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মাজেদ, নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজনের সেখানে অবস্থান ছিল। আব্দুল মাজেদ শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনে অংশগ্রহণ করেননি, তিনি জেলহত্যায়ও অংশ নিয়েছিলেন বলে আমাদের জানা রয়েছে। খুনের পরে তিনি জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক বঙ্গভবনসহ অন্য জায়গায় কাজ করেন।

‘আমরা আশা করি, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারবো। তাকে গ্রেফতার প্রক্রিয়ায় যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে মুজিববর্ষের একটি শ্রেষ্ঠ উপহার দেশবাসীকে দিতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, তৎকালীন জিয়াউর রহমান সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের বদলে নানাভাবে পুরস্কৃত করেছে। ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে তাদের যাতে বিচার না হয়, সে ব্যবস্থাটি পাকাপোক্ত করেছেন। এই খুনিকে আমরা দেখেছি, সেই সরকারের আশীর্বাদে বিভিন্ন দূতাবাসে এবং দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় চাকরিরত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই তিনি আত্মগোপন করেন।

প্রতিশ্রতি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর সব খুনিকে দেশে ফিরে আনার জন্য সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে বিস্ময়ে হতবাক হই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফিরতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কোন পর্যায়ে যেত? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে দৃঢ়তার সঙ্গে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশকে পাল্টে দেননি, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এবং জেলহত্যার আসামিদের তিনি পর্যায়ক্রমে ধরে নিয়ে আসছেন। আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারবো, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শুধু বিচার হয়নি, দণ্ডাদেশও কার্যকর হচ্ছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন