ধর্ষনের শিকার হওয়া যুবতীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতি আর ধর্ষিতাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে দিয়ে আবারো বিচারিক কাজে নজির বিহিন দৃষ্টান্ত  স্থাপন করলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।

সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এঁর আদালতে গত ৭ জানুয়ারি রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন ও ঐ যুবতীর রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর আসামী নয়নকে জামিনে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।

বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক অনেক বিচারপ্রার্থী ওই দম্পত্তিকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় আদালতের বারান্দায়। সূত্রে জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন এক নারী (২২)।

নারী-শিশু ৪২২/২০ নম্বর ওই মামলায় আসামী করা হয় সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে নয়নকে। মামলার এক পর্যায়ে পুলিশ নয়নকে গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।

বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আসামী নয়নের জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য ছিল। উভয় পক্ষে শুনানীর সময় বাদী পক্ষ থেকে বলা হয় বাদীনীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হলে আসামীর জামিনে তাদের কোন আপত্তি নেই। এক পর্যায়ে আসামী নয়ন সব শর্ত মেনে ওই দিনই এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে এবং বাদীনীকে নগদ আরও এক লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামী নয়নকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামি নয়ন জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন