বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের যাত্রা শুরু হল। র‌্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহম্মেদ, বিপিএম (বার) ও বাংলাদেশ পুলিশের ফুটবল ফেডারেশেরন সভাপতি ১৯ নভেম্বর ২০১৯ খ্রি. মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের ৩৫ জন খেলোয়াড়দের তালিকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন। এর মধ্যে ৫ জন বিদেশী খেলোয়াড় রয়েছে।

১৯৭১ সালে এ মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে থেকে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব, পুলিশ এসি (পুলিশ এ্যাথলেটিক ক্লাব) নামে ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ, জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা, ফেডরেশন কাপে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। সময়ের বিবর্তনে ২০১৩ সালে দ্বিতীয় বিভাগ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঢাকা প্রথম বিভাগ লীগে এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ (বিসিএল) খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ (বিসিএল) এ ৮টি ক্লাবের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব তৃতীয়, ২০১৫-১৬ সালে চতুর্থ এবং ২০১৬-১৭ সালে ১০ টি ক্লাবের মধ্যে ৪র্থ স্থান অধিকার করে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বহিনীর সদস্যগণ দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করে আসছে। বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মধ্য হতে ইতোমধ্যে ফটুবল কোচ হিসেবে ৫ জন এএফসি-সি লাইসেন্স অর্জন করেছে। এছাড়া ২ জন ফিফা রেফারিসহ মোট ১০ জন রেফারি ব্যাচ পাওয়ার সম্মান অর্জন করেছে।

২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ (বিপিএল) প্রতিযোগিতায় ১১টি ক্লাব অংশগ্রহণ করে। উক্ত প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০১৯-২০ সালে বিপিএল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স, উত্তরা, ঢাকার মাঠে ১ জন বিদেশী কোচ ও দেশী ৪ জন কোচের অধীনে ৫ জন বিদেশী, দেশীয় প্রথম শ্রেণীর পেশাদার ১৪ জন ও ৪০ জন পুলিশ খেলোয়াড়ের নিবিড় প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন ফুটবল মৌসুমে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এ উন্নত মানের খেলা উপহার দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন