সিটিজেন জার্নালিস্টঃ
প্রধান মন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি কোন সম্মানজনক পেশা নয়। ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়ার জন্য দৃঢ় মনোবলই যথেষ্ট। তিনি গতকাল দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে খুলনা ভিক্ষুক মুক্তকরণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পূনর্বাসন সংস্থার আয়োজনে ভিক্ষুকদের মাঝে উপকরণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণকালে এ আহবান জানান।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রত্যেক এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা সেই এলাকার ভিক্ষুকদের পূনর্বাসনের দায়িত্ব নিলে সহজেই ভিক্ষুকমুক্ত করা সম্ভব। এছাড়া মসজিদ ভিক্তিক কমিটি করেও এ কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করার ওপর গুরত্ব দিতে হবে। তাহলে ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচী সফল ও স্থায়ীত্ব পাবে। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবীর সহ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পূনর্বাসন কার্যক্রমে আজ ১৩ জন ভিক্ষুককে পূনর্বাসিত করা হয়। এর মধ্যে ৬ জনকে মুদি দোকানের সামগ্রী ও নগদ অর্থ, ৩ জনকে ভ্রাম্যমান চায়ের দোকানের সামগ্রী ও নগদ অর্থ, একজনকে সেলাই মেশিন এবং ৩ জন অতিবৃদ্ধকে রেশনিং ব্যবস্থায় খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

প্রসংঙ্গতঃ সাবেক বিভাগীয় কমিশনার খুলনা ও বর্তমান নৌপরিবহন সচিব জনাব আবদুস সামাদ ভিক্ষুকমুক্ত খুলনা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।তিনি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়ে খুলনা বিভাগের প্রত্যেক সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১ দিনের মুল বেতন নিয়ে সর্ব প্রথম খুলনা বিভাগের ৫০ হাজার ভিক্ষুক কে ভ্যান,সেলাই মেশিন,ছাগল,মুরগী,চাল,ডাল ও নগত অর্থ প্রদান করে প্রাথমিক ভাবে ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা বিভাগ ঘোষনা করেছিলেন।আর তার ই ধারাবাহিতকায় পুনর্বাসিত ভিক্ষুক দের মনিটরিং কার্যক্রম ও উপকরণ বিতরন এখনও অব্যহত আছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন