সিটিজেন জার্নালিষ্ট, সাতক্ষীরা : পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ছকিনা খাতুনকে বয়ষ্ক ভাতার বই দিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী।সোমবার সকালে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ডাকিয়ে ভিক্ষুক ছকিনা কে বয়স্ক ভাতার বহি প্রদান করেন ইউএনও।এসময় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।এবিষয় ইউএনও বলেন,একটা ভাল কাজ করতে পেরে আত্ম তৃপ্তি পেয়েছি।তিনি বলেন,এখন থেকে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় আজীবন সরকারি সুযোগ পাবে ছকিনা খাতুন(৬৪)।তিনি এ ধরনের অসহায় ও দারিদ্র মানুষ পেলে সাথে সাথে উপজেলা পরিষদে তার কার্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রাসংঙ্গত : দৈনিক সাতনদী পত্রিকার অনলাইন সংস্করনে শনিবার (১৯ অক্টোবর) “ স্বামী হারানো ভিক্ষুক ছকিনার আকুতি, কত গরীব হলে সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি রোববার (২০ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।
রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেবাশীষ চৌধূরী ফিংড়ি ইউনিয়নের বালিথা বদ্দীপাড়া গ্রামের মৃত মোহর আলী বদ্দীর স্ত্রী ভিক্ষুক সখিনার বাড়িতে সরেজমিনে খোঁজ-খবর নিতে যান। এ সময় তার সাথে ছিলেন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান ও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর আফছার আলী সরদার।
উপস্থিত লোকজনের মুখে শুনে ও নিজ চোখে দেখে এ সময় ইউএনও সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় সরকারি সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার ঘোষনা দেন।
ইউএনও দেবাশীষ চোধূরী প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি নজরে আনার জন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। আসলেই আপনাদের মাধ্যমে অনেক কিছু জানা সম্ভব হয়। সংবাদ প্রকাশের ফলে ভিক্ষুক ছকিনা পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সদর উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে ছকিনা খাতুন (৬৪) কে বয়স্ক ভাতা ও তার কন্যা স্বামী পরিত্যক্তা নিঃসন্তান নুরজাহান (৪০) কে ভাতা কার্ড প্রদান করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।