মনিরামপুরের সহকারী কমিশনার সাইয়েমা হাসান কতৃক মোবাইল কোর্টে দুই বৃদ্ধ কে কান ধরে দাড় করে রেখে নিজের ফোনে ছবি তোলার ঘটনাটি দেখে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখে ব্যাথিত হয়েছেন সিনিয়র সহকারী সচিব মনদীপ ঘরাই। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব তার ব্যক্তিগত ফেইজবুক আইডিতে এক আবেগঘন স্টাটাস দিয়েছেন। স্টাটাসটি হুবাহু তুলে ধরা হলো…….
এ লজ্জ্বা আমারও!
অনেক ভেবেছি। কী কাজ করছিল তখন ওই কর্মকর্তার মনে? আইন? করোনা? নাকি সামাজিক বিধি-বিধান?কোনটার সাথেই মেলে না তার কৃতকর্ম। জনগনের করের টাকায় বেতন-ভাতা হয় বলে সবসময়ই সকল কাজের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হয় আমাদের। সেজন্য জনসেবা নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা সরকারী কর্মচারীরা সবাই করেন।
তার মধ্যেও কিছু ব্যাপার এতটা অস্বস্তির হয়ে দাঁড়ায়, তখন পেশাগত যে পরিচিতি বহন করে চলছি, তা খুব ভারী মনে হয়। আজ তেমনটাই মনে হচ্ছে মনিরামপুরের ঘটনায়।
এ ঘটনাকে ব্যক্তিগত বিকার ছাড়া অন্য কোন নাম দেবার নেই। দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন ভুল করা যায় না। তা মেনে নেয়াও যায় না।
জনগনের সংষ্পর্শে আসা মাত্র নিজের পরিবারের মানুষগুলোর কথা মনে করা উচিত। তারাও নিশ্চয়ই কোন না কোন জেলা, উপজেলাতে অন্য কোন রূপে সেবাপ্রার্থী।
আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই বলেই এমন ঘটনার জন্ম হয়। জাতীয় দুর্যোগের এই দিনগুলোতে করোনার চেয়ে জঘন্য আর কিছু কষ্ট না দিক আমাদের। কোন কারণে কোন সরকারী কর্মচারীর দ্বারা কেউ নির্যাতিত না হোক।
বৃদ্ধ মানুষগুলোর কাছে যেতে পারলে মনটা জুড়াতো। কাঁধে হাত রেখে অন্তত একবার বলতাম,
“মন খারাপ করবেন না, পাশে আছি”
এ লজ্জ্বার দায় আমি এড়াতে পারি না। দুঃখপ্রকাশ করছি একজন মানুষ হিসেবে। সেটাই সবার প্রথম পরিচয় হোক।
#মনদীপ_ঘরাই